ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বন্দরে কোকেন আমদানীঃ ৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তেল আমদানীর আড়ালে কোকেন আমদানীর চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত এক আসামী আদালত থেকে জামিন পেয়ে ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন।

ভোজ্য তেল আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেড এর মালিক নূর মোহাম্মদ নামে এ ব্যবসায়ী আজ রবিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ  আব্দুল কাদের এর আদালত মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত ১১ জুলাই তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৭ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আগামী ৪ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারী করেছেন।

বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় যেসব প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী নাম আছে সেগুলো হচ্ছে কসকো কনটেইনার লাইনস, কসকো (বাংলাদেশ) শিপিং লাইনস, এস আর এল, সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিকস, এমভি থরোসটিলিয়ান, পিআইএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং বলিভিয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

ফাইল ছবি।

বাদীর আইনজীবি বলেন, আমদানিকারক হলেও নূর মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের অজ্ঞাতে বিবাদী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে কোকেন পাঠিয়েছে। এতে বাদীর কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। অথচ বাদীকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। এজন্য আমরা ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছি।

জামিনে মুক্তি পেয়ে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন অভিযুক্ত ধনাঢ্য তার মালিকানাধীন খানজাহান আলী লিমিটেড ছিল তেলের চালানের আমদানিকারক এতে কসকো শিপিং লাইনসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান ও তিনজন ব্যক্তির নাম বিবাদি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়েছে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিবাদিরা ভোজ্য তেলের নামে কোকেন পাঠিয়েছে। এতে খানজাহান আলী লিমিটেড আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েে আদালত মামলা গ্রহণ করে ৪ অক্টোবর আসামিদের হাজিরের জন্য সমন পাঠানোর নির্দেশদিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী। বিবাদি করা হয়েছে নূর মোহাম্মদের ব্যবসায়িক অংশীদার গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং লন্ডনপ্রবাসী ফজলুর রহমান ও মো.বকুল মিয়াকে।

২০১৫ সালের ৬ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়ে থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে কনটেইনারটি আমদানি করা হলেও বন্দরে আসার পর এর মালিকানা কেউ দাবি করেনি।

৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারটি সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ৮ জুন বন্দরে কায়িক পরীক্ষায় ১০৭টি ড্রামের কোনোটিতে কোকেনের অস্তিত্ব না পাওয়ার পরও পুলিশের চাপে নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়।

এরপর গত ২৮ জুন কন্টেইনারে ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ৯৬ নম্বরটির তরলের পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

ওই ড্রামটির ১৮৫ কেজি সানফ্লাওয়ার তেলের এক-তৃতীয়াংশই তরল কোকেন বলে পরীক্ষায় নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর থানার এসআই ওসমান গণি মামলা করেন।

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালানের অভিযোগে এই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়। পরে ২০১৫ সালের নভেম্বরে আটজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র‌্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহমেদসহ ১০ জনকে আসামি করে গত ৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ।

 

 

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print