
চট্টগ্রামে এবার ইয়াবা পাচারকালে ধরা পড়েছে এক কোস্টগার্ড সদস্য। নগরীর আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে ৩ হাজার ইয়াবাসহ মো. লাট মিয়া ওরফে ইমন (২৮) নামে এ কোস্টগার্ড সদস্যসহ ২ জনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
দীর্ঘ দিন টেকনাফ থেকে বাহকের মাধ্যমে ইয়াবা এনে বিক্রি করে আসছিল এ কোস্টগার্ড সদস্য। সকালে বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা মন্দিরের সামনে থেকে আটক হয়েছেন মো. লাট মিয়া ওরফে ইমন। এর দুইঘন্টা পর একই স্থানে ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ নিতে এসে ধরা পড়েছেন বাহক আক্তার হোসেন (২৮)।
ইয়াবাসহ কোস্টগার্ড সদস্য আটকের বিষয়টি জানিয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো.তানভীর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা কোস্টগার্ডের কাছে তাদের সদস্যকে হস্তান্তর করব। বন্দর থানায় নিয়মিত মামলাও হবে। তিনি আরো বলেন, কোমরে কোষ্টগার্ডের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে লাটমিয়া পকেটে রাখতেন ইয়াবা। কোষ্টগার্ডের সদস্য হওয়ায় তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের সন্দেহের তালিকায় থাকার সুযোগ ছিলো না।
লাট মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার পাকরগাছি গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে। আর আক্তার হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনে লাট মিয়া এমভি তানভীর জাহাজের নাবিক হিসেবে কর্মরত আছেন। নগরীর কাটগড় ডেইলপাড়া এলাকায় স্ত্রী ও ছয় বছরের এক ছেলে নিয়ে তিনি ভাড়া থাকেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে লাট মিয়া কোস্টগার্ডে যুক্ত হন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেড় মাসের জন্য তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন।
লাট মিয়া জানিয়েছেন, তিনি ভালো ক্রিকেট খেলেন। শাহপরীর দ্বীপে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
সোমবার সকালে আক্তার তাকে ফোনে ইয়াবা নিয়ে লাট মিয়ার বাসায় আসছেন। বিকেলে আক্তার সিম্ফনি মোবাইলের শপিং ব্যাগে ইয়াবা নিয়ে তার বাসায় আসেন। কোমরের বেল্টের সঙ্গে কোস্টগার্ডের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে লাট মিয়া ইয়াবাগুলো নিয়ে এসেছিলেন গোসাইলডাঙ্গা এলাকায়। বিক্রির পর সেখানে টাকার ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল আক্তারকে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে লাট মিয়াকে আটক করে। এরপর মোবাইলে আক্তারকে ডেকে এনে তাকেও আটক করা হয়।