
বন্দরনগরীতে অস্থায়ী-স্থায়ী পশুর ৮টি হাট বুধবার বিকেলে থেকেই বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রিতাদের মধ্যে যোগ সংযোগ তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র পছন্দের গরু-ছাগলটি ক্রয় করতে। আর তাতেই যত বিপত্তী, বড় গরু দাম নাগালে থাকলেও মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর দাম যেন আকাশচুম্বী।
বেপারীরা এই সাইজের গরু গুলো কে সহজে বিক্রয় করতে চাচ্ছেন না।এই নিয়ে কোরবানী দেওয়া মধ্যম পরিবারের ক্রেতারা কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং রাতেই বেপারীরা কিছুটা হিমশিম খেয়ে হালকা- পাতলা ছোট সাইজের গরু বিক্রয় করতে দেখা গেছে।
চসিকের সহকারী এস্টেট অফিসার এখলাস উদ্দিন আহমেদ জানান, চট্টগ্রামের স্থায়ী পশুরহাট সাগরিকা ও বিবির হাটসহ অস্থায়ী পশুরহাট কর্ণফুলী পশুবাজার, স্টিলমিল পশুবাজার, কাটগড় (পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) বাজার, পোস্তারপাড় স্কুল মাঠ পশুর বাজার, কমল মহাজন ও সল্ট গোলা রেলক্রসিং পশুরহাটে কোরাবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে। এছাড়া সিটি করপোরশেন সীমানাসংলগ্ন বুড়িশ্চর কলেজ মাঠ, হাটহাজারী সদর, সিটি গেঁসংলগ্ন ফৌজদারহাট, শাহআমানত সেতুসংলগ্ন পশুরহাটেও পশু বেচাকেনা হচ্ছে। যেখান থেকে নগরীর অনেক ক্রেতাই প্রতি বছর কোরবানির পশু কিনেন।

বুধবার রাতে সরজমিনে ইপিজেডের সিমেন্ট ক্রসিং(ইশানমিস্ত্রী হাট)অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পতেঙ্গার স্টীলমিল-কাটগড় পশুর হাটেও একই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে।কর্নফুলী,বিবির হাট এবং সাগরিকা পশুর হাটেও দর-দামের ব্যবধান দেখে দূরদূরান্ত থেকে আগত পশু ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে।
তবে কিছুটা আশস্ত স্বরে কুস্টিয়া থেকে আগত গরু বেপারী কলিম বলেন, বৃহস্পতিবার হতে মাঝারি-ছোট সাইজের গরুর দাম কমতে পারে।আমরা এতো দূর হতে এসেছি বিক্রয় করতে গরু ফেরত নিতে চাই না । তাই কিছুটা লাভ আসলেই ছেড়ে দিব।
এদিকে বেশ কয়েকটি হাট নিয়ে ইজারাদারা চসিকের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগসহ মুখোমুখি হাট স্থাপন করায় অভিযোগ উঠেছে।

তথ্যমতে, ইপিজেড-পতেঙ্গার দুটি হাট একই পথে হওয়াতে ইজারাদারগণ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষদগার করছেন। যাহাতে ঐ এলাকার বসবাসরত বাসিন্দা এবং ফুটপাতদিয়ে চলাচলরত পথচারীরা চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য সিএমপির পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার চৌধুরী ৩০ আগস্ট দুপুরে হঠাৎ করে হাটগুলো পরিদর্শন করে কিছুটা অসোন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন। এসময় তিনি হাট ইজারাদারদের মূল সড়কে গরু-ছাগল না রেখে তা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানান।
এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সাগরিকা হাটে গরুর পাশাপাশি ছাগল, দুম্বা, উটও বিক্রি হচ্ছে। সাতকানিয়া থেকে আব্দুর রশীদ পাঁচটি ছাগল বিক্রি করতে এসেছেন। জানালেন, চার বছর ধরে লালন-পালন করা ছাগল পাঁচটি বিক্রি করতে চান ৫০ হাজার টাকা। ক্রেতার তিনি প্রহর গুণছেন। সাগরিকা বাজারের পাশে আকবর মামার বাজারে সবচেয়ে দামি গরু উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে এখানে গরু।