
নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের মাঝে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং লঙ্গরখানা খোলার দাবী জানিয়েছেন মানবাধিকার নেত্রী মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট এলিনা খান।
তিনি আজ শুক্রবার টেকনাফের কুতুপালং নাথ পাড়া, সীমান্ত এলাকা ত্রাণ বিতরণ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
১৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল পরিদর্শনকালে শৃংঙ্খলা, লঙ্গরখানার অভাব ও ত্রাণ কার্য বন্টনে মারাত্মক অনিয়ম , অব্যবস্থাপনা ও সমন্ময়হীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
রাতে পাঠক ডট নিউজের সাথে আলাপকালে এডভোকেট এলিনা খান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আমি দেখেছি নারী শিশুরা ত্রাণ পাচ্ছে না। তারা ঠেলাটেলি এবং ভিড়ের মধ্যে ত্রাণ সংগ্রহ করতে না পেরে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটছে। বিশেষ করে ছোট শিশুর মায়েদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এসব নারীরা স্বামী সংসার ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছে।
ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ কার্যে বাংলাদেশের মানুষ মানবাধিকার চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসলেও প্রশাসন তাদের কোনরূপ সমন্ময় ঘটাতে পারেনি যা শুধুমাত্র এককভাবে তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। এজন্য সুষম বন্টন ও ত্রাণ কার্যে সমন্ময় আনতে আমাদের দক্ষ , প্রশিক্ষণ ও চৌকশ সেনাবাহিনীর জোয়ানদের নিয়োগ দেয়া এখন সময়ের দাবী । কেননা যেকোন দুর্যোগে সেনাবাহিনী যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে ।
তিনি অবিলম্বে সেনা নিয়োগের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে না আনলে লক্ষ লক্ষ অসহায় নিরন্ন মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রনায় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে । বিশেষ করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে । যা ঠেকাতে অবিলম্বে সেনাবাহিনীর জরুরী মেডিক্যাল টিম ও অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর প্রেরণ করা আবশ্যক । এখন পযর্ন্ত জাতিসংঘ কিংবা দেশী বিদেশী কোন সাহায্য সংস্থা বিপন্ন মানুষদের বাঁচাতে সরাসরি কার্যকর বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আশ্রয় গ্রহণকারীরা শুধুমাত্র সাধারণ জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এতটুকু টিকে আছেঙ্রৃ। মানবাধিকার টিম কুতুপালং নাথ পাড়ায় আশ্রয় গ্রহণকারী হিন্দু শরনার্থীদের মাঝে এবং হোইকং ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় গ্রহণকারী শত শত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে মানবিক ত্রাণ সাহায্য বিতরণ করেন।
এসময় তিনি অবিলম্বে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীকে নিজ মাতৃভূমিতে স্বমর্যাদায় নিরাপদে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র সমূহকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে এই মানবিক সংকটকালে বাংলাদেশের পাশে দাড়াতে তিনি সকল বন্ধু রাষ্ট্রকে উদাত্ত আহবান জানান ।
এই ত্রাণ বিতরণ ও পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ যথাক্রমে প্রিন্সিপল আশফা খানম, এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, শহিদুর ইসলাম বাবর, রফিকুল ইসলাম, এরশাদ আলম , আরিফুর রহমান চৌধুরী বাপ্পী , শান্তনু চৌধুরী্র, মানবাধিকার স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্য ফাতিমা জাহরা আহসান রাইসা, ফুয়াদ আহসান, আবু মোহাম্মদ যাওয়াদ , রিয়াদ আহসান প্রমুখ