
প্রশ্নপত্র ত্রুটির দায়ে কারাগারে বন্দি ১৩ শিক্ষকের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা।
আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রতীক অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচিতে শিক্ষক সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও মহানগরের নেতা কর্মী ছাড়াও আটককৃতদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতীক অনশন কর্মসূচি চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ। শিক্ষক সমিতির এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিত চৌধুরী, শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা সুনীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, উত্তর জেলার সভাপতি রণজিৎ নাথ, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক ছগির মোহাম্মদ, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভাগীয় সভাপতি উত্তম চৌধুরী, কেন্দ্রিয় সদস্য অধ্যাপক অশোক সাহা, কানাই দাস, বাশিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক শিমুল মহাজন ও মো: আলতাজ মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাশিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপদেষ্টা শান্তি রঞ্জন চক্রবর্তী, প্রশান্ত বড়ুয়া, সদস্য বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, জেলার পক্ষে তাপস চক্রবর্তী, নারায়ণ দাশ, উপজেলার পক্ষে কাঞ্চন বিশ্বাস, অমল দাশ, ফিরোজ চৌধুরী, আবু বক্কর, মো: হাবিব উল্লাহ, আটককৃত ১৩ শিক্ষকের পরিবার বর্গে সাইফুল ইসলাম, আবু জাহের চৌধুরী, মিশকান উদ্দিন মজুমদার, সুপলাল বড়ুয়া প্রমুখ।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ১৩ জন শিক্ষক কারাগারে থাকায় তাদের পরিবার অবর্ণনীয় দূরাবস্থায় আছে। উক্ত শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান সমূহ ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রশ্নপত্রের কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম ছিল না। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ১৩ শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। প্রশ্নপত্রে অনিচ্ছাকৃত ক্রুটির কারণে ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও ১৩ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মাস অতিবাহিত হলেও তারা মুক্তি পায়নি। কোনো শিক্ষক নেতাই স্বাধীনতাবিরোধী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলেন না।
বক্তারা কারাগারে থাকা ১৩ শিক্ষককে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। সেইসাথে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা বিনা শর্তে প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।