রাশেদ খান, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট:

মিলন মাহমুদ ভাইয়ের সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় আজ থেকে দুই বছর আগে। বেগম জিয়ার গাড়ি বহর যেদিন ঢাকা ব্যাক করছিলো, সেদিন ফেনী মহিপাল এসে মিলন ভাইয়ের সাথে আমার দেখা করবার কথা ছিল। যেহেতু মিলন ভাইয়ের ছবি আগে অনেকবার দেখেছি, ফেনী প্রবেশ করতেই হোন্ডা বহরের একদম প্রথম সারিতে মাথায় হেলমেট দেয়া অবস্থায় উনাকে চিনতে পেরেছি। গাড়ি রানিং ছিল, তাই ঐ অবস্থায় উনাকে ডাকা উচিৎ মনে করি নি।
এর কিছুক্ষন পর জানতে পারলাম বেগম জিয়ার গাড়ি বহর ফেনী মহিপাল ক্রস করবার পর ,মহিপালে রাস্তায় বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে থাকা দুইটি বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপস্থিত জনতাকে সাথে নিয়ে শুরুতে বাসের আগুন নিভাতে শুরু করলেন মিলন মাহমুদ ভাই সহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী’রা।
তারপর ফায়ার বিগ্রেডের গাড়ি আসবার পর, তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসলেন সেই মিলন মাহমুদ সহ স্থানীয় জনতা। এর কিছুক্ষন পর সময় টিভি, যমুনা টিভি সহ দুইটি চ্যানেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন মিলন মাহমুদ ভাই। এবং ঠিক তার পাঁচ মিনিট পর জানতে পারলাম বাসে আগুন দেয়ার অপরাধে ফাজিলপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিলন মাহমুদ’কে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এবং কিছুক্ষন আগে যমুনা টিভি নিউজ করেছে, মহিপালে বাসে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করে ছাত্রদল নেতা মিলন মাহমুদের জবানবন্দী।
কোন দেশে বাস করছি আমরা?
বাসে আগুন লাগার পর যে ছেলেটি নিজের প্রান বাজি রেখে আগুন নিভাতে দৌড়ে গেলো,সেই ছেলেটিকে রিমান্ডে নিয়া টানা দুই দিন নির্যাতন করে, ক্রস ফায়ারের হুমকী দিয়ে, বাসে আগুন দেয়ার অপরাধে আসামী করে ফেললো এই রাষ্ট্র!
( সেদিনের যমুনা টিভির রিপোর্ট, সাদা গেঞ্জি পরিহিত মিলন মাহমুদ, বাসের আগুন নিভিয়ে, সাংবাদিকের কাছে সাক্ষাতকার দেয়ার কিছুক্ষন পর পুলিশ তাকে এরেস্ট করে)