
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মা সাহেদা ওয়াদুদ (৫৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া….রাজেউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকার হলিফ্যামেলী হাসপাতালে মারা যান। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার মাকে সঙ্গে নিযে ঢাকায় থাকতেন। সাথে ছিলো মিতুও বাবুলের দুই সন্তান মাহির ও তাপুর। মায়ের মৃত্যুর পর দাদীর যতেœই বেড়ে উঠছিলো মাহির ও তাপুর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুল আক্তার জানান, কয়েকদিন আগে ভোরের নামাজ পড়তে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মাথায় ব্যাথা পান তার মা। পরে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় আনা হয়। কাল সোমবার রাতে ষ্ট্রোক করেন তার মা। পরে হলিফ্যামেরি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
বাবুল আক্তার আরো জানান, ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আনা হয়েছে। তার মেজো ভাই সাহাবুল হক বিদেশে থাকেন। কাল দেশে ফিরলেই জোহর নামাজের পর তার মায়ের লাশ দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাবুলের স্ত্রী মিতুকে। ওই সময় তিনি পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় ছিলেন বাবুল। ঘটনা শুনে তিনি চট্টগ্রামের ফিরে হত্যাকান্ডের পরদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর বাইরে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে। পরে বাবুল আক্তার চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বেসরকালী হাসপাতাল আদ্ব-দ্বীনে চাকুরি নেন।