
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনের চেষ্টার অভিযোগে স্ক্র্যাপ জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও কর্মচারীদের মারধর করে করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে আজ সকাল থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে গেছে। হামলায় আহত একজন গাড়ী চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার ভোর ৪ টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক বিএসবি কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মহিউদ্দিন সেলিম পাঠক ডট নিউজকে জানান, রাতের আধাঁরে কে বা কারা বিএসবি অফিসে তালা মেরে দিয়ে বাইরে প্যাণ্ডেল ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ পাঠনো হয়। তবে দুপুর পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, আজ ভোর রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কার্যলয়ের নির্বাচন অফিসে হামলা চালায় । আগুন দেওয়া হয় আসবাবপত্রে , তালা মেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভোট কেন্দ্র । এসময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় নিরাপত্তা কর্মী আমির হোসেন, ড্রাইভার জাহাঙ্গীর। সকালে ভোটারগণ কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেন । নির্বাচনে ১১টি পদে ১৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে ১৪২ জন সদস্য ভোটা দেয়ার কথা ছিলো।

জানাগেছে, শিপ ব্রেকার্স মালিকদের এ সংগঠন ৩৫ বছরের পুরানো। ২০১৮-২০১৯ (দুই বৎসর) মেয়াদ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনী তৎপরতার শুরুর পর বিভিন্ন অনিয়ম অসঙ্গতির অভিযোগ এনে গত ৩১ অক্টোবর বিএসবি সদস্য এস এম আল নোমান রিট আবেদনটি করেন । শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) চার সপ্তাহের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।

নোমান অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে গেলে সেটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সচিব। আমরা এই ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। এর পরও একটি মহল আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচন করার চেষ্টা চালায়। তবে কে বা করা নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তা আমি জানি না।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের বলেন আমারা আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞার কাগজ পয়নি। ঘোষিত সিডিউল অনুযায়ী আজ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। হামলা ও ভাঙচুরের কারণে আপাততে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে।