ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লোহাগাড়ায় প্রেম, পালিয়ে বিয়ে অত:পর জেলহাজতে বর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

.

দীর্ঘদিনের প্রেম। পালিয়ে বিয়ে। পরে পারিবারিক বিরোধের জেরে বরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৩নং কলাউজান ইউনিয়নে। বর্তমানে বর জেলহাজতে আর কনে ৫দিন ধরে থানায়।

জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর কলাউজান ইউনিয়নের আদারচর এলাকার কামরুলের ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে সাবেকুন্নাহার পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়ীতে চলে আসে। বাড়িতে নবদম্পতি সুখেই বসবাস করছিল। হঠাৎ একদিন গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী সাবেকুন্নাহার ও বাবা কামরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কামরুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়া হলেও সাবেকুন্নাহারকে থানায় আটকে রেখে সাইফুল ইসলামকে একটি অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হয়। মামলাটির বাদি সাবেকুন্নাহারের মা মছুদা বেগম। আটকের পরই মামলা করেন তিনি।

এ মামলায় আরো ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিনের প্রেম, পালিয়ে বিয়ের বেশ কয়েকদিন পর আটক করে অপহরণ মামলা দায়েরের ঘটনাকে সামাজিক বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন সাইফুলের পিতা কামরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার ছেলের সাথে সাবেকুন্নাহারের বিয়ের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডেও কাজি অফিসে তাদের নিকাহনামা রেজিস্ট্রি হয়। একই সাথে তিনি মিথ্যা অপহরণ মামলার প্রতিবাদে এবং চারদিনেরও বেশি সময় ধরে তার পুত্রবধুকে আদালতে না উঠিয়ে থানাহাজতে রাখার ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সামাজিক বিরোধের জের ধরে কন্যার মাকে ফুসলিয়ে বিয়ে অস্বীকার করে অপহরণ মামলা করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদুল্লাহ জানান, গভীর রাতে ৩ জনকে আটকের বিষয়টি শুনেছি। নিজবাড়ি থেকে আটকের সময় পুলিশের সাথে থাকা চৌকিদার অরুণ বড়ুয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই লাইন কেটে দিয়ে ফোন অফ করে দেন।

যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার ও অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোহরাওয়ার্দি জানান, সাবেকুন্নাহারকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসময় কর্তব্যরত ডাক্তার না থাকায় তাকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। চারদিনেরও বেশি সময় ধরে আদালতে না তোলে পুলিশ হেফাজতে রাখার নিয়ম আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যতদিন মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন হয়নি ততদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নিয়ম আছে।

বিয়ে হয়ে যাবার অর্ধমাস পর নিজবাড়ী থেকে আটক, পরে অপহরণ মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিয়ের ব্যাপারটি জানেন না এবং ঘটনাটি মামলার ভিত্তিতে অপহরণ হিসেবেই ধরে তদন্ত চলছে বলে জানান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print