মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ঝর্ণায় বেড়াতে এসে ফেরা হলো না এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের। ৬ বন্ধু মিলে ঝর্ণার পানিতে আনন্দে সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাটানোই ছিল লক্ষ্য। বন্ধুরা সবাই বেড়ানো শেষে ফিরলেও লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহাদাত হোসেন (২১)কে। শাহাদাত চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় থাকতেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার ১২ নম্বর খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের নয়দুয়ারিয়া নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণায় দুপুর ২ টার দিকে ডুবে মারা যায় এ শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের সদস্যরা ঝর্ণা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
শাহাদাত ফেনী জেলার শর্শদি ইউনিয়নের শর্শদি গ্রামের প্রবাসী মতিউর রহমানের একমাত্র পুত্র।
নিহত শাহাদাতের বন্ধু হাসিবুল আলম জানান, তারা চট্টগ্রাম থেকে ৬ বন্ধু মিলে শুক্রবার সকালে নয়দুয়ারিয়া নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা দেখতে আসেন। দুপুর ২ টার দিকে ঝর্ণার পানিতে সবাই সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ মামুন দুর্বল হয়ে পড়ে।
এসময় অন্য বন্ধুরা তাকে টেনে উপরে তোলার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে শাহাদাত ঝর্ণার পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় পাশিখোই ত্রিপুরা ও সুবাস ত্রিপুরা পানিতে নেমে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। তারা ব্যর্থ হলে স্থানীয়রা পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেওয়া হলে আগ্রাবাদ ও মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে দুইটি টিম ঘটনাস্থলে যান। এসময় আগ্রাবাদের ডুবুরি দলের সদস্য নাজিম উদ্দিন প্রথম ডুবেই পানির নিচ থেকে নিথর মরদেহটি তুলে আনেন।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার আলম জানান, নিহতের মরদেহ কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মীরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নিহতের লাশ উদ্ধার করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে আমরা মীরসরাই থানায় লাশ নিয়ে আসি।