বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ

জেলার বোয়ালখালীতে নিখোঁজের হওয়া ৫ বছরের এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছেন নিজ বাড়ির রান্না ঘরে। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে লাশটি পওয়া যায় বলে দাবী করেন পরিবার ও এলাকাবাসী। যে রান্না ঘরে নিখোঁজ শিশু আইমান হক কায়েপের (৫) মরদেহ পাওয়া গেছে তার ৫ মিনিট আগেও নকি লাশটি সেখানে ছিলনা।
তাই এলাকাবাসী এবং আইমানের পরিবারের দাবী আইমানকে জ্বীনে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরে ফেলে গেছে। দুইদিন আগে আইমান নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বোয়ালখালী থানায় নিখোঁজের জিডি করা হয়েছিল।
লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে বোয়ালখালী পুলিশের ঘটনাস্থলে গেছেন।
আইমান হক কায়েপ বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী দরপপাড়া বদরুছ মেহের চেয়ারম্যান বাড়ীর এজাহারুল হকের দুই ছেলের মধ্যে বড়।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী আবু পাঠক ডট নিউজকে জানান, আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নিজেদের রান্নাঘরে আইমানের মরদেহ পাওয়া গেছে। অথচ লাশ পাওয়ার ৫ মিনিট আগেই সেঘরে গিয়ে তল্লাশী করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বৈদ্যরা জানান আইমানের লাশ জ্বিনে নিয়ে গেছে তার লাশ রান্নাঘরে ফেলে গেছে। এর পর রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায় লাশ পড়ে আছে। এবং লাশের চেহারা কালো হয়ে হিন্দুদের দেবতা কালী মত হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী বা পরিবরের কেউ আইমানকে হত্যা করেছে কিনা জানতে চাইলে ইসমাঈল হোসেন বলেন কোন মানুষ শিশুটিকে হত্যা করেনি। জ্বীনেই মেরেছে। তাই পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তারা লাশ ময়নাতদন্ত করতে রাজি না।
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ হিমাংসু দাশ রানা বলেন, লাশ উদ্ধারে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। তিনি বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। শিশুটির লাশ থানায় আনতে বলেছি। লাশের ময়নাতদন্ত অবশ্যই হবে।
উল্লেখ্য গত বৃস্পতিবার(৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আইমান ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি বলে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে পরদিন শুক্রবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন আইমানের চাচাতো ভাই মো. শওকত হোসাইন।
প্রতিবেশিরা জানান, আইমান নিখোঁজ হওয়ার খবরে এলাকার পুকুর, গড়খাই, রান্নাঘরসহ সকলস্থান খোঁজ করা হয়। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা আজ শনিবার দুপুরেও আসা যাওয়া করলেও আইমানের সন্ধান মেলেনি। শনিবার দুপুর ২টার দিকে সেই রান্না ঘরে আইমান মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানতে পারেন স্থানীয়রা।