
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
আবারা উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আঞ্চলিকদলের সন্ত্রাসীদের হাতে একইদিনে দুই উপজেলায় দুইজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হামলার শিকার হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ একজন নিহত ও অপরজন গুরুত্বর আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মূছা মাতব্বর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন, জুড়াছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমা। অপরদিকে একইদিনে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। গুরুত্বর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অরবিন্দু চাকমাকে জেএসএস সন্ত্রাসীরাই গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মূছা মাতব্বর।
জুড়াছড়িতে নিহত অরবিন্দুর লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থল ডেবাছড়া এলাকায় সেনা-পুলিশের যৌথ একটি দল রওয়ানা দিয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র।
এদিকে দলীয়নেতা হত্যাসহ অপরনেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিকেল তিনটায় রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দলটির সাধারণ সম্পাদক মূছা মাতব্বর জানান, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর সন্ত্রাসীরাই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে জেলার নানিয়ারচর উপজেলাধীন ১৮ মাইল নামক স্থানে স্ব-জাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সাবেক নেতা ও নতুনভাবে গঠিত হওয়া গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এর নেতা আদি রঞ্জন চাকমাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীরা।