
চট্টগ্রাম নগরীর মাদারবাড়িতে পরিবহন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ চৌধুরী হত্যাকান্ডের পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খুনিরা অধরা রয়ে গেছে। পুলিশ খুনের ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি এখনো। সেই সাথে খুনের কারনও উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এখনো খুনিরা ধরা না পড়া বা খুনের কারন উদঘাটন না হওয়ার পিছনে খুনীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতারে ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ হারুন পরিবারের। কারণ হারুন খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যে দশজনকে সন্দেভাজন আসামী করা হয় তারা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই হত্যাকান্ডের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে খুনিরা পার পেয়ে যাবে এমন আশংকা করছে নিহতের পরিবার।
হারুন হত্যা মামলার সন্দেভাজন আসামীরা হলো, মো. আলমগীর, মো. কায়সার, নূরুন্নবী, মোশারফ হোসেন লিটন, মো: শরীফ, মো. জসিম উদ্দিন, তানভীর হোসেন, তৌফিক হোসেন, মো. দুলাল, ইফতেষার ও মো: সালাহউদ্দিন ওরফে দুলাল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আওরঙ্গজেব বলেন, খুনিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। খুনের কারনও অনুসন্ধান করা যায়নি বলে জানান তিনি।

তবে সদরঘাট থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, আমরা এ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। যারা জড়িত, তাদের কেউ ছাড় পাবে না। তিনি বলেন, সরাসরি কোনো আসামি নেই। সম্ভাব্য সন্দেহজন হিসেবে ১০ জনের নাম মামলায় উল্লেখ আছে। যাদের নাম মামলা এসেছে তারা যদি হারুন খুনের সাথে জড়িত থাকে, অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী সমর্থিত ৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল থেকে মাদাবাড়ী এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সদরঘাট থানা যুবদল যুগ্ন আহবায়ক ও স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী হারুন আর রশীদ চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে চিহিৃত যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা।
এঘটনার পরদিন রাতে নগরীর সদরঘাট থানায় মামলা করে নিহত হারুনের বড়ভাই হুমায়ুন কবির চৌধুরী। এতে ১০ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ্য করা হলেও তাদের আসামী দেখায় নি পুলিশ।
*যুবদল নেতা হারুন হত্যা মামলা, সন্দেহভাজন ১০ জনই যুবলীগ ছাত্রলীগের