
কানাডা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সেক্রেটারী জেমস স্টোনের নেতৃত্বে কানাডা সরকারের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হেফাজতে ইসলামীর আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাথে সাক্ষাত করে তাকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন-কানাডা সরকারের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ব্যারি ব্রিস্টম্যান এবং কানাডা হাইকমিশনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৈয়দা শাহনাওয়াজ মোহসিন।
সোমবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ হেফজতের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হলেও আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি মিডিয়াকে জানান হেফাজত নেতারা।
হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রচার সম্পাদক মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ জানান, সাক্ষাতকালে হেফাজত আমীরের সাথে কুশল বিনিময় করার পরে দীর্ঘ বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি বর্তমান দেশের পরিস্থিতি, হেফাজত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন, তারা হেফাজত আমীরকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করছে, সরকারসহ দেশের জনগণ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে, এবং ইসলামও সংখ্যালঘুদেরকে যে অধিকার দিয়েছে এবং নিরাপত্তার বিধান করেছে তা এদেশের মুসলমানরা দিয়ে আসছে।
প্রতিনিধি দল জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইসলাম কখনো জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না, নিরীহ মানুষ হত্যা, জোর-জুলুম এবং অন্যায় ভাবে মানুষের ধন-সম্পদ লুন্ঠন ইসলামে জঘণ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত, এসব অপরাধের জন্য অপরাধের পরিমান বিবেচনা করে ইসলাম শাস্তির বিধানও করেছে।
তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আল্লামা শফির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারী বাহিনী ও স্থানীয় মগদস্যুদের নির্মম পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরকে সরকার শরনার্থীর মর্যাদা দিয়ে আশ্রয় দিয়েছে, এবং এদেশের মানুষ বিশেষত আলেম-উলামারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তাদের দিকে সার্বিক সাহায্যের হাত বাডিয়ে দিয়েছেন, এবং এখনো যথাসাধ্য সার্বিক সহায়তা করেই যাচ্ছেন৷
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, অর্থ সম্পাদক হাজী মুজাম্মেল হক, মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা সাদেক উল্লাহ মাওলানা রিয়াদ সহ নেতৃবৃন্দ বৈঠক শেষে মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহীর সাথে প্রতিনিধি দল জামেয়া হাটহাজারীর পুরো ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন, এবং হেফজ বিভাগে পরিদর্শনে এলে তাদেরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শুনানো হয়, এতে তারা দারুণ ভাবে মুগ্ধ হন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন বলে জানান হেফাজত নেতারা।