
তবে শুধু হাইকিং ট্রেকিংয়ের কথা বলে জুতা কিনলেই হবে না। সেই জুতা কেনার সময় আপনাকে অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখেত হবে। নয়তো জুতাই হয়ে দাঁড়াবে আপনার বিরক্ত ও কষ্টের কারণ। আসুন তাহলে আজ জেনে নেই হাইকিং ট্রেকিংয়ের জন্য জুতা কিনতে কিনতে গেলে আপনার কি কি জিনিস জেনে রাখা উচিৎ।আপনার জুতোজোড়া যদি হালকা না হয়, তাহলে প্রতি পদক্ষেপেই আপনি অনেক বেশি করে শক্তিব্যয় করতে থাকবেন, ফলে ক্লান্ত হয়ে যাবেন খুব কম সময়েই।গবেষণা থেকে জানা যায় যে, জুতার ওজন এক পাউন্ড বেশি হলে তার জন্য যে বাড়তি শক্তি ব্যয় হয়, সেটা পিঠে একটা ভালো ব্যাক-প্যাকে পাঁচ থেকে আট পাউন্ড ওজন বহন করার শক্তির সমান।তাই খেয়াল রাখুন পরিবেশে ও আবহাওয়ার সাথে মানানসই হিসেবে যতটা সম্ভব হালকা জুতো যেন আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
জুতার নিচে যে বিভিন্ন রকম কারুকাজ করা থাকে, উঁচু-নিচু থাকে, সেটাই হল জুতার গ্রিপ। ভালো গ্রিপের জুতা মাটি কামড়ে রাখে, আপনাকে পিছলে যেতে বাধা দেয়। ভালো গ্রিপ আছে এরকম একটা জুতা থাকলে আপনি বিভিন্ন রকম ট্রেইলে বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় আপনার পিছলে যাবার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।আপনার জুতো যদি আপনার পায়ের সাথে ভালোভাবে ফিট না করে, তাহলে আপনার পুরো ভ্রমণটাই হতে পারে যন্ত্রণাময়। তাই কোনো ভ্রমণের আগে নতুন জুতা কিনলে অন্তত কয়েকদিন সেটা পড়ে হাঁটা উচিত।
অনেক রকম জুতাই আপনি পড়তে পারেন আপনার হাইকের জন্য।
চাইলে পড়তে পারেন বুট জুতা, রানিং শু, অথবা স্যান্ডেল জাতীয় কিছু একটা।
আপনার চাওয়া আর আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এক কোনটাই আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে যদি সেটায় থাকে ভালো গ্রিপ, হয় হালকা এবং জিনিসটা আপনার পায়ে ঠিকভাবে ফিট করে।