
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও ছাত্রলীগের মধ্যে দুদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩ জন ছাত্র আহত হয়েছেন।এরমধ্যে দুইজন অবস্থা গুরুতর বলে জানাগেছে।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উম্মুক্ত মঞ্চের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মির্জা ফখরুল ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী।
জানাগেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘নিপীড়নবিরোধী’ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী ও রিজু লক্ষী নামে এক কর্মী আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবনের সামনের সড়কে প্রথম দফায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, দুপুর ১ টার কিছু আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন বাম সংগঠন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অতিক্রম করে আইটি ভবনের সামনে গেলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জনের একটি দল লাঠি সোটা নিয়ে এতে বাধা দেয় এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তিতীতে তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দু’পক্ষকে সরিয়ে দেন।

পরে বেলা ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে ফের প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন ফজলে রাব্বী ও মির্জা ফখরুল।পরে তাদেরকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা রাম-দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের মিছিলে হামলা করে। এতে আমাদের ২০-২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বলেন, গোলযোগ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে আহত একজনকে মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়। তবে কারা ধাওয়া দিয়েছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারি নি। ছাত্রজোটের নেতারা আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে, তবে লিখিত কোন অভিযোগ দেয় নি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে পাঠিয়েছি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োজিত আছে।পরিস্থিতি ও শান্ত।