
গত বছরের ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রামে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের পশ্চিম পাড়া মৃত হাজী মকবুল আহমদ মাঝির বাড়ির মৃত মনির আহমদের ছেলে মো. নাছির (৪২) ও একই গ্রামের আইল্যা মিয়াজির মৃত পেটন আলীর ছেলে আহমদ ছফা (৪৫)।
মঙ্গলবার রাতে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে দায়ের করা মামলায় ছয় পাচারকারীর ঠিকানা না পাবার অজুহাতে তাদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ২০ লাখ ইয়াবার সঙ্গে র্যাব নয়জনকে গ্রেফতার করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছিল। কিন্তু র্যাব তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল।
গত বছলের নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে আদালত মামলাটি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিআইবিকে নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিআইবি চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিনকে।
এ বিষয়ে পিআইবি চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পরই আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে ছয়জনের সঠিক নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি চারজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পিআইবি’র পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির বলেন, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল ভোরে গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবাসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। পরদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে গ্রেফতার হওয়া নয়জনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।
কিন্তু গ্রেফতার হওয়া নয়জনকে আসামি করে গত বছরের ১৭ আগস্ট চার্জশিট দেয় র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন আহাম্মদ। আদালত চার্জশিট ত্রুটিপূর্ণ মনে করায় অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।