
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে গতরাতে গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা ও আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়ী এক সাব ইন্সপেক্টরসহ (এসআই)সহ ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজকের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যাহার করা তিনজন হচ্ছে সীতাকুণ্ড থানার এসআই নাজমুল হুদা, কনষ্টেবল আবুল কালাম, আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন।
জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা দুপুরে পাঠক ডট নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা ভাটিয়ারী এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি গ্রামবাসী এবং এলাকার জন প্রতিনিধি, নিহত ও আহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত এবং আহতের বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম চলছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে থমতমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ, গতকাল বুধবার রাত ৯ টার সময় সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার তেলী পাড়ায় সাদা পোশাকে আসামী ধরতে গেলে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালালে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়। আহত হয় আরো দুইজন। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সাদা পোশাকে পুলিশ আসামী ধরার নামে সাধারণ জনগনকে হয়রানি করে আসছে। গত ১২ জানুয়ারী একই ইউনিয়নের মির্জানগর জেলেপাড়ায় সাদা পোশাকে গিয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার তিন এসআই কয়েজক জেলেকে আটক করা চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদেরকে গণ পিটুনী দেয়।
এ ঘটনার পর সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইফতেখার হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উক্ত জেলেপাড়ার ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, মির্জানগর জেলে পাড়ার ঘটনার কোন ধরনের আইনগত ব্যাবস্থা না নেওয়ায় আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, অভিযুক্তদের ঐ দিন ডিউটি ছিলনা তারপরও তারা কিভাবে ঐ এলাকায় গিয়েছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।