
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে পরীক্ষার সাতদিন আগে থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে সরকারি এই নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য।
রবিবার বেলা সাড়ে ৪টা নাগাদ নগরীর ইপিজেড থানাধীন কোচিং পাড়া খ্যাত হাসপাতাল গেইটের বিভিন্ন স্কুল ও ভাড়া বাসায় দেখা মেলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও অবাধে চলা কোচিং সেন্টার গুলোর কোচিং বাণিজ্য।
এই থানার আওতায় রয়েছে কয়েকটি সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষ গড়ার কারিগররা অধিকাংশই মশগুল কোচিং বাণিজ্য নিয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ গড়ার প্রশিক্ষনে তারা ব্যর্থ হলেও সফলতা ধরে রেখেছে নিজ হতে গড়া কোচিং সেন্টারের।
আর তাইতো বিভিন্ন ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুম ভাড়া ও বাহারি সব নাম নিয়ে তাদের সাঁজানো কোচিং সেন্টার গুলোতে বিকাল গড়াতেই জমে শিক্ষার্থীদের মেলা।

এদিকে পাঠক ডট নিউজের সরেজমিন প্রতিবেদনে ফুটে আসে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে মেতে থাকা বিএফ শাহীন স্কুল ও কলেজের শিক্ষিক মো:আব্দুল মালেক, বিএন স্কুল ও কলেজের ইংরেজী বিষয়ক শিক্ষক মো:মোমেন ও সদ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী বিষয়ে মাস্টার্স পাশ যুবক মো: ফরহাদ সহ বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক মো: কবির হোসেন।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কেন কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে এই শিক্ষকরা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে পরীক্ষা তাই তাদের নিয়ে আজ কেবল আলোচনায় বসেছি। কোন ক্লাস নিচ্ছি না।
আমরা আগামীকাল থেকে কোচিং বন্ধ বলে অলরেডি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছি।
তবে কিছু কিছু কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা জানান আমরা কেবল প্রথম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পড়াই তাই কোচিং খোলা রেখেছি। যেহেতু সরকার বন্ধ রাখতে বলেছেন আগামীকাল থেকে কোচিং এর কার্যক্রম বন্ধ রাখবো।

এদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক শিক্ষিক কোচিং সেন্টার বন্ধ করে সরে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপস্থিত কিছু অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় এবারের এক এস এস সি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জেসমিন আক্তার জানান, মেয়ে বাসায় বলেছে তার কোচিং খোলা তাই নিয়ে এসেছি। সরকার যে কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে বিষয়ে জানতাম না।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আমি খুবই খুশি। পরীক্ষার সময় বাসায় না পড়ে কোচিং সেন্টারে দৌড়ে লাভ কি বলুন? এসময় ছাত্র ছাত্রীদের উচিত মন দিয়ে পড়াশুনা করা, সাজেশনের লোভে কোচিং সেন্টারে গিয়ে সময় নষ্ট করা না।