কোচিং সেন্টার বন্ধের ফলে ১৫ লক্ষ শিক্ষিত, মেধাবী ও তরুণ উদ্যোক্তা বেকারত্বেরর অভিশাপে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছন চট্টগ্রাম কোচিং এসোসিয়েশন।
আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে, অবিলম্বে কোচিং সেন্টার বন্ধের স্থগিতাদেশ রহিতকরণের জন্য দাবি জানায় সংগঠনটি।
একই সঙ্গে কোচিং সেন্টারেরর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়েনেরও দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সংগঠনটির একজন শিক্ষক সৈয়দ মুক্তার উদ্দীন জানান, “দেশের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের আয় ১৫-২৫ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এমতাবস্থায় জনগণের ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে গৃহশিক্ষক রেখে পাঠ্য সিলেবাস সমাপ্ত করা প্রায় অসম্ভব। আর এই অসম্ভবকে আমরা সম্ভব করি মাত্র ১০০০-১২০০ টাকায়।
তিনি আরো জানান, আমরা শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবককে প্ররোচিত করে সেন্টারমুখী করি না। কোচিং সেন্টারসমূহ আজ শিক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।”
সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট, গৃহকর, এবং আয়কর প্রদান করে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি জানান।
সংগঠনের সভাপতি মো. আবু তাহের অভিযোগ করেন, বিভিন্ন পাবলিক পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসলেও কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাহলে কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোচিং সেন্টার বন্ধের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত?
তাই তিনি অবিলম্বে ১৫ লক্ষ শিক্ষিত, মেধাবি, এবং তরুণ উদ্যোক্তাকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রির প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রব সোহেল, মো. সাজ্জাদ উদ্দীন, সোহরাব মোস্তাফা আজিজুল হক, তানভীরুল হক, আসাদুর রহমান প্রমুখ।