
৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মত চট্টগ্রাম জুড়ে চলছে পুলিশের গণ গ্রেফতার। জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকাতে গ্রেফতার চললেও পুলিশ আটক বা গ্রেফতারের পরিসংখ্যান বলতে পারেনি। তবে গণগ্রেফতার এড়াতে ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বিএনপি জমায়াতের নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার আতঙ্কে ভূগছে অনেক নেতাকর্মী।
এদিকে জেলার ফটিকছড়ি ও ভুজপুরে বিএনপি জামায়াতের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ফটিকছড়ি পৌর ছাত্রদল নেতা ওসমান তাহের সম্রাটকে সোমবার বিকেলে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠাননে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
অপর আটকৃতরা হলেন পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মহিবুল্লাহ চৌধুরী বাহার (৪৫), বিএনপি নেতা মো. সোলায়মান (২৯), আজাহারুল আলম (৩৮)।
অপরদিকে উপজেলার ভূজপুর এলাকা হতে ৪ বিএনপি নেতা-কর্মী ও এক জামায়ত কর্মীকে আটক করে ভূজপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-বাগানবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সা.সম্পাদক অহিদুর রহমান প্রকাশ অদু সওদাগর (৫০), সাবেক সেক্রেটারী আবু আহমা আবু মেম্বার (৪৫), দাতঁমারা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী আবুল খায়ের (৪২), ভূজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন বাচ্চু (৪০), ও জামায়ত কর্মী নুরুল ইসলাম (৩০)।
ভূজপুর থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক বিষয়ে অস্বীকার করেন ভূজপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল লতিফ। তবে দাতঁমারা (তদন্ত) কেন্দ্র’র ইনচার্জ মিঞা আবুল কালাম আজাদ বলেন ২-৩জন আটক আছে বলে জানান।
ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনর্চাজ জাকের হোসেন মাহমুদ বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৮ ফেব্রুয়ারীকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটাতে পারেে সন্দেহে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. খুরশিদ জামিল বলেন, ‘আ.লীগ সরকার ফটিকছড়িসহ পুরো দেশজুড়ে বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা দেখে অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এ ধড়পাকড়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা।