
চট্টগ্রাম মহানগরীতে যুবলীগের মিছিল থেকে যুবদল নেতার বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর চকবাজার থানাধীন বাকলিয়া গনি কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন পিন্টু (৩৬),জাভেদ (৩৩), আরমান (২১)।
হামলার শিকার জাভেদ জানান, বিকালে গনি কলোনী এলাকায় ওয়ার্ড যুবলীগের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি’র নাশকতার বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। এসময় ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারী মুছার সমর্থক আশিক ওয়ার্ড সভাপতি হাজী শফিকে কটাক্ষ করে। এ ঘটনায় হাজীর শফির সমর্থক রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে আশিককে মারধর করে।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার কিছুক্ষন পর মুছার নেতৃত্বে সোলতান, মাসুদ,মুরাদসহ ৫০/৬০ জন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে গিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। তারা রুবেলকে না পেয়ে মহানগর যুবদল নেতা বাদশা’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় উছৃংখল যুবলীগ কর্মীরা জহুর সওদাগরের বাড়ীর সেকান্দরের বিল্ডিং এবং মোজাহের সওদাগর বাড়ীর জিয়াউল হক মিন্টুর বিল্ডিংয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

যুবলীগ কর্মীরা এ দুটি বাসায় আসবাব পত্র,জানালার গ্লাসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া তারা বাড়ীর গেইটে এবং ফাঁকা গুলি করে। যুবলীগ নেতা মুছার শার্টারগান থেকে গুলি করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এসময় এলাকায় বেশ আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নুর নাহার বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা জানান,তারা বাসায় ঢুকে ব্যাপক তান্ডব চালায়। জাভেদ বলেন যুবলীগ নেতা মুছার শার্টারগান থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। কিন্তু সৌভাগ্য বশত তার গায়ে গুলি লাগেনি।
য়ুবলীগ কর্মীরা বেশ কিছুক্ষন তান্ডব চালিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে চকবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে ব্যাপারে চকবাজার থানার ওসি মীর নুরুল হুদা বলেন, ভিন্ন কথা। তিনি জানান, বিকালে ছাত্রলীগের একটি মিছিলে ঐ ভবন গুলো থেকে ঢিল ছোড়া হয়। এর পর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা সেখানে পাল্টা ঢিল ছোড়ে। তিনি জানান দুটি ভবনই মহানগর যুবদলের নেতাদের। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।