
পুলিশের সাথে হাতাহাতি ধস্তাধস্তির পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাঁকে কার্যালয়ে ভিতর অবরুদ্ধ রাখার চেষ্টা করে।
এসময় ডা: শাহাদাত বলেন, “আমার অফিস আমি থাকবো। ক্ষমতার কেউ আজীবন টিকে থাকেন “।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নাশকতার আশংকায় চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। শত শত পুলিশ নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির মহানগর দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ২ হাজার ৭০০ ফোর্স নগরীতে মোতায়েন আছে। এর বাইরে থানার পুলিশ, চার প্লাটুন বিজিবি, বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট এবং কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরাও মাঠে আছেন।

নগর পুলিশের সিদ্ধান্তে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বিমান যাত্রীদের বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। ওই সড়কে রাষ্ট্রয়াত্ত তিনটি তেলস্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান আছে।
নগরীতে গন পরিবহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম চলাচল করছে।
এদিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যেও বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধায় পড়েন তিনি।
এসময় নগর পুলিশের এডিসি নর্থ জাহাঙ্গীর আলম তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেন।
পুলিশের সাথে ডাক্তার শাহাদাতের কিছুক্ষন কথাকাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ বিএনপির কয়েকজন কর্মীকে আটকের চেস্টা করলেও ডাক্তার শাহাদাতের কারনে তা সফল হয়নি। এরপর পুলিশ তাঁকে অফিসের ভিতরে চলে যেতে বলেন। এসময় ডাক্তার শাহাদাত কয়েকজন দলীয় কর্মী নিয়ে অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন দেশ আজ পুলিশি রাস্ট্রে পরিনত হয়েছে। আমি নিজের দলীয় কার্যালয়ে এসেছি অথচ পুলিশ তাতে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মীরা শহরের ১৮ টি স্পটে অবস্থান নিয়েছে। তারা লাঠি মিছিল করছে তাতে পুলিশ কিছু করছেনা।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পলাশ কান্তি নাথ জানিয়েছে যে কোন ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় ৫২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১২ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে। নগরী ও জেলার ৪৪টি পয়েন্টে র্যাবের টহল টিমও সক্রিয় আছে। সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি-জামায়াতের ১৪৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের এডিসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের অফিসে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিলে কোন বাধা নেই। কিন্তু কোন ধরনের অরাজকতা করলে পুলিশ তা কঠোর হাতে দমন করবে।