
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টি ঠেকাতে ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ছাত্রলীগ অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ব্যানার ও লাঠি হাতে অবস্থান নিয়ে মাইকযোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পাশাপাশি দেশত্ববোধক গান পরিবেশিত হয়। ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান তারেকের সভাপতিত্বে জিইসি মোড়ে, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বহাদ্দারহাট মোড়ে, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির সভাপতিত্বে মুরাদপুর মোড়ে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সভাপতিত্বে বন্দর ৩ নং চত্ত্বরে, ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আশিকুন নবীর পরিচালনায় দেওয়ানহাট মোড়ে, নগর ছাত্রলীগের উপ ক্রীড়া সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান রনির সভাপতিত্বে আগ্রাবাদ মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশ গুলোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথে আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিরোধে আমাদের অবস্থান।
আরশেদুল আলম বাচ্চু আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং আইনের ঊর্ধ্বে যে কেউ নয়, তা প্রমাণ হল। এই রায়ে প্রমাণ হল যে বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দূর্নীতি ও অপরাধীদের অবাধ বিচরন ঘটে। বিএনপি সরকারের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া যেখানে দুর্নীতিগ্রস্থ সেখানে দলটির নেতা কর্মীদের দুর্নীতির প্রতি আগ্রহের পৃষ্টপোষকতা কারা করে তা আজ প্রকাশ পেয়েছে। রায়ের আগে বিএনপি পুলিশ ভ্যানে হামলা করে অরাজকতা তৈরী করেছিলো। একইভাবে রায় ঘোষনার পরেও তারা সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতেও বিএনপি –জামায়াতের যেকোন নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্র সমাজ মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।
সমাবেশগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্ররীগ নেতা গোলাম ছামদানী জনি, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আলাউদ্দিন আলো, তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু, মোহাম্মদ পারভেজ, নগর ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদুল আলম মানিক, ইয়াছিন আরাফাত কচি, আশরাফ উদ্দিন টিটু, আবদুল হালিম মিতু,এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাসান আলী, সরফুল আনাম জুয়েল, তোফায়েল আহমেদ মামুন, আনিসুর রহমান, আশিকুন নবী, কামরুল ইসলাম রাসেল, ইমদাদুল হক ইবান, ইরফানুল হক, অবদুল্লাহ আল নোমান, সাইদুর রহমান সাকিল, আবদুল্লাহ আল মারুফ, সুলতান মাহমুদ ফয়সাল, সালাউদ্দিন বাবু, কামরুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন তালুকদার, সফিকুল ইসলাম সাকিল, রুবেল সরকার, ওয়াহিদুল আলম, সমিত বড়–য়া, নুরুননবী শাহেদ, রাকিব হায়দার, আবদুল্লাহ আল জোবায়ের হিমু, পারভেজ হোসেন,সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম পাহেল, রাশেদ হোসাইন, শাহাদাত হোসেন হিরা, মাহফুজ হোসেন, নয়ন উদ্দিন, এনামুল হক মানিক, আজিজুর রহমান, আবদুল হাকিম ফয়সাল, অর্পণ চক্রবর্তী প্রমুখ।