
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন,বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে হয়রানিমূলক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার।একদিন এই শেখ হাসিনাকেও কারাগারে যেতে হবে।বেগম জিয়া কারামুক্ত হয়েই প্রধানমন্ত্রী হবেন আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব হারিয়েই কারাগারে যাবেন।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরি নগর বিএনপির অফিস চত্বরে কেন্দ্রীয় কমর্সূচীর অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম.নাজিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য চল চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে সরকার। আওয়ামীলীগ বেগম খালেদা জিয়া, জনগণ এবং নির্বাচনকে সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। সরকার তাদের আজ্ঞাবহ আদালতের মাধ্যামে অন্যায়ভাবে রায় দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহংসার সাজা দিয়ে সরকার এখন হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা মনে করেছিল খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজা দিলে বিএনপি দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু বিএনপি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া অধিক শক্তিশালী। খালেদা জিয়া একটি সামাজিক শক্তির নাম।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখন গায়েবী মামলা দেয়া শুরু করেছে। কোন নাশকতার ঘটনা না ঘটার পরও বিভিন্ন থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে আসামী করে নাশকতার মামলা দিচ্ছে সরকার। তিনি অবিলম্বে এসব গায়েবী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সহ সকল দলীয় নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুচ সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, সৈয়দ আহমদ, মাহবুুব আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, মোঃ ইকবাল চৌধুরী, এস.এম. আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক এস.এম. সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইর্ঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, হাজী মোঃ তৈয়ব, সিহাব উদ্দিন মুবিন, মোঃ সালাহ উদ্দিন, শামসুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, ইব্রাহিম চৌধুরী, মোঃ শাহ আলম, সম্পাদক বৃন্দ শেখ নুরুল্লাহ বাহার, এম আই চৌধুরী মামুন, হাজী নুরুল আকতার, দিদারুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, থানা সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপতী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোঃ সেকান্দর, আব্দুল্লাহ আল হারুন, হাজী মোঃ হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবসার, শরফরাজ কাদের রাসেল, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, শেখ রাসেল, শ ম জামাল, সহ-সম্পাদকবৃন্দ এ.কে.এম. পেয়ারু, মোঃ সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, রেহান উদ্দিন প্রধান, বেগম লুৎফুচ্ছেনা, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুসা, নকিব উদ্দিন চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আব্দুল হাই, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানার সম্পাদক জাকির হোসেন, আবতাবুর রহমান শাহীন, হাজী বাদশা মিয়া, শাহবুদ্দীন, জাহেদুল হাসান, হাবিবুর রহমান, রোকন উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সস্পাদক এম নাজিম উদ্দিন।এতে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি নেতা ইয়াসিন চৌধুরী লিটন,শাহ আলম,এ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, নগর যুবদল সভাপতি কাজী বেলাল,সাধারণ সস্পাদক মোশাররাফ হোসন দীপ্তি, নগর ছাত্রদের সভাপতি গাজী সিরাজ,সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসন বুলু প্রমুখ।