
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে পুলিশী বেষ্টনীতেই চলছে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই নগরীর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে যোগ দেন।
নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পুলিশী বেষ্টনীতে শুরু হয় মানববন্ধন কর্মসূচি। বিএনপি কর্মীদের মাত্র এক ফুট দূরত্বেই বেষ্টনী তৈরি করে অনেকটা সীমানা নির্ধারণ করে দেয় পুলিশ। সকাল থেকেই বিপুল পরিমাণে র্যাব-পুলিশ বিএনপি কার্যালয় ও নগরীর কাজির দেউরি মোড়ে অবস্থান নেয়।
মানববন্ধনে বিএনপি নেতারা বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে হয়রানিমূলক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার। একদিন এই শেখ হাসিনাকেও কারাগারে যেতে হবে। বেগম জিয়া কারামুক্ত হয়েই প্রধানমন্ত্রী হবেন আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব হারিয়েই কারাগারে যাবেন।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ বেগম খালেদা জিয়া, জনগণ এবং নির্বাচনকে সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। সরকার তাদের আজ্ঞাবহ আদালতের মাধ্যামে অন্যায়ভাবে রায় দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে বলে আবারো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, ‘রাতের পর ভোর আসে। বাংলাদেশের আকাশেও নতুন সূর্যের উদয় হবে। বেগম জিয়াই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তখন এ সরকারের সকল কর্মকাণ্ডের বিচার করা হবে। হলমার্ক, ব্যাংক লুটপাট, শেয়ারবাজার ধ্বংস, উন্নয়নের নামে মহালুট সবকিছুর বিচার হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা এত বেশী দুর্নীতি করেছে যে তখন দেশ ছেড়ে পালাতেও পারবে না।’
এসময় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, শ্রমিক দল নেতা এম নাজিম উদ্দিন, সামসুল আলম, নগর বিএনপির সেক্রেটারি আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, বেলায়েত হোসেন বুলু, কাজী বেলাল, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, কামরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, মো. ছালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।