ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

একটানা বসে কাজ নয়, বিরতি নিন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

মানব দেহের শরীরএক জায়গয়া বসে থাকার জন্য তৈরি হয়নি। সে সব সময় সচল থাকবে এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু এমনটা না করে আমরা কাজের জন্য বহুক্ষণ একভাবে কম্পিউটারের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে বসে থাকি। ফলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ বিগড়ে যেতে শুরু করে। একে একে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে একাধিক মারণ রোগ।

প্রতিটি অফিসেই চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়। ফলে প্রতিদিন ডেস্কে প্রায় ৮ ঘণ্টা থেকে ১০ ঘণ্টা চেয়ারে বসেই পার করতে হয়ি। অফিসে কাজের চাপ বেশি থাকলে কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি সময় কাজ করতে হয়। এ সময়টার মধ্যে অনেকেরই ওজন বেড়ে যেতে পারে।

কোনোভাবেই একটানা বসে কাজ করা ঠিক না। কারণ একটানা বসে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করাটাই হয়তো আপনার জীবনপদ্ধতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবুও এর মাঝে একটু হাঁটাচলা করা প্রয়োজন।

একটানা বসে থাকার ফলে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আবার একটানা একই ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে ঘাড় বা পিঠে ব্যথাও হতে পারে। অথচ আজকের শিশুরাও আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য হাতে নিয়ে বসে বসেই পার করে দিচ্ছে শৈশব।

গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি প্রতিদিন একটানা বসে থাকেন, নিয়মিত ব্যায়াম করলেও তিনি বসে থাকার ফলে সৃষ্টি হওয়া সমস্যাগুলোর ঝুঁকি এড়াতে পারেন না। তাই ছুটির দিনগুলোতে শিশুকে বাইরে নিয়ে যান। দৌড়ঝাঁপ করে খেলুন ওর সঙ্গে। শিশুর স্কুলে খেলার সুযোগ রয়েছে কি না, খোঁজ নিন। বাইরে খেলতে উৎসাহ দিন।

অফিসে কাজের পরিবেশ ও নিয়মকানুন হয়তো বদলে ফেলতে পারবেন না। পরিবর্তন আনুন নিজের মাঝে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু সময়ের জন্য হলেও চেয়ার ছেড়ে উঠুন। হাত ও পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ান।

অফিসের ডেস্কে কাজের মাঝে দুই মিনিট সময় পেলে হয়তো ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন আপনি কিংবা মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে থাকেন। এটা না করে বরং দুই মিনিটের এই খুদে বিরতিতেই চেয়ার ছেড়ে একটু হেঁটে আসুন। সহকর্মীর ডেস্কে গিয়ে কুশল বিনিময় করে আসুন। কিংবা জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। বসে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।

আর যদি জানালার পাশ থেকে খোলা আকাশ দেখতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। কেননা এটা এক রকমের রিফ্রেশমেন্ট।

বাড়িতেও একই নিয়ম মেনে চলুন। কম্পিউটারে বা টেবিলে বসে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে সামান্য বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন। টেলিভিশন দেখার অভ্যাস কমিয়ে আনুন। কেননা টিভি দেখা যদি নেশা হয়ে দাড়ায় তাহলে আপনার মরণও হতে পারে এতে। কম্পিউটার, মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনুন। বাড়ির বারান্দা কিংবা ছাদে একটু সময় কাটান। দেখবেন মনটাই কেমন ফুরফুরে হয়ে গেছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print