
চট্টগ্রাম মহানগরীর সিটি গেইট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া বেশ কিছু ফার্নিচার শো রুমসহ অন্তত শতাধিক কারখানা, বাড়ীঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে গেছে।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিটি গেইটস্থ সাবেক মেয়র মঞ্জুরুল আলমের বাড়ীর পাশে (সিডিএ ১ নং গলির সামনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আগ্রাবাদস্থ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম দায়িত্বরত অপারেটর সরওয়ার জাহান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে নগরীর আগ্রাবাদ, বন্দর, নন্দনকানন ও সীতাকুণ্ডের কুমিরা স্টেশন থেকে ৫টি ইউনিটের ১৩টি গাড়ি দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

তবে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ী এখনো ফিরে না আসায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান দেড়ঘন্টা ব্যাপী আগুনে ৩০টি ফার্নিচার শো রুম, ৮টি বড় ফার্নিচার তৈরীর কারখানা, এবং ৭০টির মত ভাড়াঘর পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলের থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, আগুনে বড় ফার্নিচার শো রুম ও তাদের কারখানা ও বিভিন্ন দোকান পুড়ে গছে। একটি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের কাছে এ অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় ফিলিং স্টেশনটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ পুড়ে গেছে। দেড়ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তবে এখনো ফায়ার কর্মীরা ডেম্পিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আগুনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া একটি ফার্নিচার দোকানের মালিক মাহবুব রশীদ জানান, কেউ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ আগুন লাগিয়েছে বলে ধারণা করছে ব্যবসায়িরা। কারণ একটি প্রভাবশালী মহল এ ফার্নিচার শো রুম ও কারখানা তুলে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে।
এ ছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিসকে বার বার ফোন করার পরও তার যথাসময়ে আসেনি। একঘন্টা পর ৮০ ভাগ স্থাপনা পুড়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে।

তিনি জানান, এ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান শো রুম, কারখানা এবং বাসতঘর পুড়ে অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।