
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে বিএনপির গণস্বাক্ষর কমর্সূচী। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ গগণস্বাক্ষর কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নাসিমন ভবন চত্বরে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, বিচারের নামে সরকারী মহলের অবিচারের স্বীকার বেগম খালেদা জিয়া। ১/১১ সরকার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, আওয়ামীলীগ সরকার তা সমাপ্ত করছে। সরকার আদালতের উপর ভর করে তদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী যিনি দীর্ঘ ৯ বছর গণতন্ত্রের পক্ষে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। দেশনেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জিয়া অরফনাজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা। ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে জাল জালিয়তি করে এ মামলাটি করা হয়েছে। বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্যই বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। সরকার কোর্টকে ব্যবহার করার জন্য এ ধরনেরই হীন প্রন্থা বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জেল ও ২ কোটি টাকা তছরুফের আষাঢ়ে গল্প দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার এ রায়ে আগামী নির্বাচনী রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অংশগ্রহণমুূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয়
সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ডিজিটাল সরকারের আমলে হাইব্রিড গণতন্ত্র চলছে।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে সম্মানের সাথে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে কারাগারের শৃংখল ভেংগে বন্দী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে দেশের জনগণ।
চট্টগ্রাম বিএনপির ভারপ্রাত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে হরতাল অবরোধের মত সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত থেকে বেগম জিয়ার নির্দেশিত অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বিএনপিকে জনগনের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। আওয়ামীলীেেগর পাতা ফাঁদ তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্ত খালেদা জিয়ার ছেয়ে বন্দি খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা অনেক বেশী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, হাজী মো. আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজুু, এডভোকেট আবদুস সাত্তার সরোয়ার, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, শেখ নুরুল্লা বাহার, জাহিদুল করিম কচি, আলহাজ্ব বাবর মিয়া, মহিলা দলের সভানেত্রী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সহসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, মো. সালাহউদ্দিন, এস এম জি আকবর, মো. শাহ আলম, আবু জহুর, জহির আহমদ, এস এম জাহাঙ্গির আলম, সম্পাদকবৃন্দ এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদ আলম পান্না, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আকতার, ডা. সরোয়ার আলম, দিদারুল আলম চৌধুরী দিদার, মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, নুরুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, থানার সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর মিয়া, আবদুল্লাহ আল হারুন, হাজী হানিফ সওদাগর, সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মো. শাহাজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, অধ্যাপক রনজিত বড়ুয়া, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, নকীব উদ্দিন ভূইয়া, আবদুল মতিন, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহউদ্দিন লাতু, থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজী বাদশা মিয়া, নূর হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ২০ দলীয় জোট নেতা আবু মোজাফ্ফর মো. আনাছ, আলাউদ্দিন আলী, আনোয়ার সাদেক, মো. হেলাল, মুজিবুর রহমান, ফিরোজ কবীর লিটন, এড. জাহিদ হোসেন, মাসুম উদ্দিন, সৈয়দ মুহাম্মদ জুলকারনাইন, মো. সাইফুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর ছাত্রদল নেতা এইচ এম রাশেদ খান, জিয়া উর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।