
বিগত আড়াই বছর ধরে চারজন তদন্ত কর্মকর্তা উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিল এর বাসা থেকে চুরি হওয়া সরকারি পিস্তল ও ২০রাউন্ড গুলি। মূল অপরাধীকেও সনাক্ত করাতে পারেনি পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেফতার হওয়া ৯জনও নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছে।
জানা যায়, পুলিশ সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিল ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসের ১৬তারিখ পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর শ্যামলী আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে পরিবারসহ গ্রামের বাড়ীতে যায়।তিনি একই মাসের ২৬তারিখ রাতে বাসায় ফিরে দেখেন তার আলমিরার ভিতরে রক্ষিত সরকারি নাইন এমএম পিস্তল ও ২০রাউন্ড গুলি চুরি হয়ে গেছে।
এঘটনায় তিনি হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মামলা নং-২৯/৩৮.০৮.১৫।
প্রথমে মামলাটির তদন্তেরর দায়িত্ব পান হালিশহর থানার এসআই শহিদুর রহমান। তিনি সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করলেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেননি। হালিশহর থানা পুলিশ পিস্তল-গুলি উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ার পর মামলাটির তদন্তভার যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। এরপর পিবিআইয়ের এসআই নুরুল ইসলাম ও এসআই খাইরুল বশরও তদন্ত করেন। তারাও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। সবশেষ মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মো. আলী।
তিনি ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান।দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো চুরি হওয়া অস্ত্র কিংবা মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেননি তিনি।
সবশেষ অস্ত্র উদ্ধার না করেই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। মামলায় গ্রেফতার হওয়া নয়জনকে এখন নির্দোষ বলছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিডিসহ মামলাটির -৪/৪/১৮ তারিখে শুনানির আদেশ ৬ষ্ঠ মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেট মেহজান রহমান।
এদিকে সরকারী অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা বলে মনে করছে সচেতন মহল। ‘চুরি হওয়া সরকারী অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে এটি অবৈধ কাজে ব্যবহার হবে। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় প্রকৃত আসামিরাও আইনের আওতায় আসেনি। জড়িতরা শনাক্ত না হলে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যেতে পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ আলী পাঠক ডট নিউজকে বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে এখন আদালতে আছে। শুরুতেই আসামীদের সনাক্ত করতে না পারায় বিষয়টি দেরি হয়ে গেছে। আমরাও অনেক চেষ্টা করেছি। মামলার বাদীকে ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।তিনি অস্ত্রের সমপরিমাণ মূল্য জরিমানা দিয়েছেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিল বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে।আমি কি বলবো এ বিষয়ে আপনি তদন্ত কমর্কতার সাথে কথা বলেন।