ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রাজনীতির বল বিএনপি নেতাকর্মীদের কোটে -আমীর খসরু

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে সরকার তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফেলেছে। এখন রাজনীতির বল বিএনপি নেতাকর্মীদের কোটে। তারা যেভাবে খেলবে সরকারকে সেভাবেই খেলতে হবে।

তিনি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, আওয়ামীলীগ যে পথে হাটছে সেটা একদলীয় পথ, স্বৈরতন্ত্রের পথ, ফ্যাসিষ্টের পথ, নিপীড়ন নির্যাতনের পথ। তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অথবা অন্য শক্তির উপর নির্ভর। বিএনপি জনগণের উপর নির্ভর। বিএনপি চলছে গণতন্ত্রের পথে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি আসবে আইনের শাসনের মাধ্যমে, বাক স্বাধীনতার মাধ্যমে। দেশনেত্রী যে পথ দেখিয়েছেন সেটি শান্তির পথ। খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেয়ার পর অনেক সাংবাদিক আমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। আমি তাদের বলি, আমি কি প্রতিক্রিয়া দিব? কারণ উনি তো কোন বক্তব্য রাখেন না, উনি শুধু গালাগালি করেন, তাই তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন মানে এ নয় যে, হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা এখন গ্রেফতারের ভয় করে না। মনে রাখবেন বেগম খালেদা জিয়া জেলের ভিতরে অনেক বেশী শক্তিশালী। আওয়ামীলীগ আছে মহাবিপদে। তারা নেত্রীকে জেলের ভিতর রাখলেও বিপদ, বাহিরে রাখলেও বিপদ। কারণ আওয়ামীলীগ শেষ কার্ড খেলে ফেলেছে, তাদের কাছে আর কিছুই নেই। যা আছে দেমের মানুষের কাছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে, অতিশ্রীঘ্রই সে গন্তব্যে পৌঁছবে।

.

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষানীতি দুটোই ধ্বংস হয়ে গেছে। ফর্মাস ব্যাংকের মালিক মহিউদ্দিন খান আলমগীর ব্যাংক লুটপাট করে শেষ করেছে। দুদকের মামলায় সে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তারপরও সে এমপি রয়ে গেছেন, মন্ত্রীও হয়েছেন। এ হচ্ছে বাংলাদেশের আইনের স্বাধীনতা। জনগণের টাকা লুট করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে। বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক থেকে টাকা লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকার কোন খোজ নেই। শেয়ার বাজার থেকে টাকা লুটপাট করেছে দরবেশ এবং তার সহযোগীরা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আওয়ামীলীগের নেতারা বাড়ী করেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি চায় না, আমি চাই উনি আইনের মাধ্যমে মুক্তি পাক, কারো দয়ায় নয়। বিচারপতিদের বিবেক থাকলে তাঁকে মুক্তি দিবেন। এ মামলা যে হাস্যকর, সেটি হাসিনাও জানেন। আসলে মামলাটি হয়েছে ভারতের প্রেসক্রিপসনে। তিনি বলেন, আপনাদের এখন দুটো দায়িত্ব। খালেদার মুক্তি আর সুশাসন ফিরে আনা। আওয়ামীলীগ ভারতের দয়া চাচ্ছে, ভারত সব সময় কম দিয়ে বেশী জিনিস নিয়ে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বড় বাঁধা ভারত। ডা. জাফরুল্লাহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে উদ্ভট আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি আগেই বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার ব্যাপারে কিভাবে বক্তব্য রাখলেন।

.

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছেন। ম্যাডাম এতিমের কোন টাকা আত্মসাৎ করেনি। ১/১১’র সময় শেখ হাসিনার নামে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের টাকা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আর তখন মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নামে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের একটি মামলা করা হয়। পরবর্তীতে কোন প্রমাণ না পাওয়ায় বেগম জিয়ার মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয় আর শেখ হাসিনার মামলাটির চার্জশীট দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার মামলার ফাইনাল রিপোর্টটি আদালতে না পাঠিয়ে তাদের অনুগত ডবল প্রমোশনধারী একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরে এটির চার্জশীট দেয়া হয়। তিনি বলেন, আদালত নাকি স্বাধীন? কোন প্রাইভেট ট্রাস্টির বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না বলে যুক্তি দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়া হয় আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়।

.

পেশাজীবি নেতা ডা. খুরশিদ জামিলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাবের সভাপতি ও পেশাজীবি পরিষদের মহাসচিব ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, এ্যাব সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাব নেতা ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসান জাফরী তুহিন, এম.বি.এ এসোসিয়েশনের মহাসচিব শাকিল ওয়াহিদ, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. কবীর চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নসরুল কদির, চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এড দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. জহিরুল আলম, এ্যাব চট্টগ্রাম সভাপতি কাজী সুফিয়ান, শিক্ষক নেতা মাহমুদুর রহমান সাকাসহ পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও দর্শক সারিতে বসে পেশাজীবি নেতাদের বক্তব্য শুনেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print