
চট্টগ্রামে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হার্টের জরুরী বাইপাস অপারেশনের মাধ্যমে জীবন শংকা মুক্ত হলেন চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকার বাসিন্দা হাফেজ আহমেদ (৫২)।
গত ফেব্রুয়ারী মাসের ১২তারিখ তার এই অপারেশনটি সম্পন্ন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের চীফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা: সারওয়ার কামাল ও তার টিম। অপারেশন টিমে ছিলেন চীফ এনেস্থেসিওলজিস্ট ডা: সুমন শিকদার,কার্ডিয়াক সার্জন ডা: শরীফুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
রোগীর ছেলে চৌধুরী জালাল উদ্দিন বলেন, গত ১০ই ফেব্রুয়ারী আমার বাবা বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলে আমরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ’তে ভর্তি করাই। পরদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা:বিপ্লব ভট্রাচার্য্য আমার বাবর এনজিওগ্রাম করেন।
তিনি জানান তার হার্টে চারটি ব্লক রয়েছে। বাম পাশের মূল রক্তনালী প্রায় ৯৯ভাগ বন্ধ,ডান দিকের রক্তনালীও প্রায় ৯৫ভাগ বন্ধ । এছাড়াও এলএডি রক্তনালী শতভাগ বন্ধ। তাছাড়াও ইকো পরীক্ষায় জানা যায় রোগীর হার্টের কার্যকারিতা ৩৫ভাগ মাত্র ও রক্তের পরীক্ষায় হার্ট এ্যাটাক ধরা পড়ে। এমনতাবস্থায় ডাক্তার অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনের জন্য বলেন। তারপর আমরা এ্যাম্বুলেন্স এ করে বাবাকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এবিষয়ে ডা: সারওয়ার কামাল বলেন, রোগী আমাদের নিকট আসলে আমরা সাথে সাথেই ্আইএবিপি নামে একটি মেশিন লাগিয়ে দেই। তারপর আমরা জরুরী ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করি । বোর্ডের সিদ্ধান্ত রোগীর স্বজনদের জানানো হয় যে এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ রোগী বাঁচার সম্ভাবনা থাকে ১০ভাগ। এই ধরণের অধিকাংশ রোগী অপারেশন টেবিলেই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
এই রোগীর অপারেশনে বড় ধরণের মৃত্যু ঝুঁকি থাকলেও তার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেই। রাতেই জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনটি আমরা সম্পন্ন করি।
তিনি আরো বলেন, অপারেশনের পরও তার থাইরয়েডের সমস্যাসহ কিডনী ও লিভার ফেলিওর সমস্যা ধরা পড়ে। সেই সাথে অপারেশনের ৮ম দিনে একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ সনাক্ত হয়। আমাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রোগী সুস্থ্য হয় ।