
চট্টগ্রামের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও নগর ছাত্রলীগ নেতা নাছিম আহমেদ সোহেলের হত্যাকান্ডের দু’বছর অতিবাহিত হলেও তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও মূল হত্যাকারীসহ অনেক আসামিই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তার পরিবার। খুনিদের বিরুদ্ধে এখনো পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে না পারায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন সোহেলের বাবা মো. আবু তাহের ও মা সেলিনা বেগম। একই সঙ্গে ২৯ মার্চ সোহেলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ প্রিমিয়ারের দামপাড়া ক্যাম্পাসে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সোহেলকে হত্যা করা হয়।যারা ধরা পড়েছে তারা দ্রুত সময়ে জামিনে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আসামিদের অবৈধ অর্থের প্রভাবে প্রায় সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও বিচারিক ও তদন্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্থবির। খুনিরা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকায় আমরা হতাশ। থানা প্রশাসনের বক্তব্য আমরা আসামি কোথায় আছে জানালে উনারা ধরে আনবেন। আসামি কোথায় সেটা কি আমার জানার কথা, নাকি পুলিশের তৎপরতায় তাদের অবস্থান জেনে গ্রেফতার করা তাদের কাজ?
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, সন্তান হারানোর কষ্ট কি বলে বোঝানোর মতো? সন্তানহারা এই পিতামাতার ছেলের খুনিদের গ্রেফতর ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। কারণ পুলিশ প্রশাসন খুনিদের প্রভাবে প্রভাবিত এটা সুস্পষ্ট। তাদের মামলা পরিচালনা ও আসামি গ্রেফতারে অনাগ্রহ তা প্রমাণে যথেষ্ট।
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান প্রন্মের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোহেলের বড় বোন ফারহানা ঝর্না, প্রন্মের সভাপতি মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন ও কামরুজ্জামান ফয়সাল