ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ইটের আঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোহাম্মদ সোহেল রানা (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পৌরসদরের চন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দুর্বৃত্তদের ইটের আঘাতে সোহেল রানা নিহত হন বলে জানা গেছে। নিহত সোহেল স্থানীয় নুর মোহাম্মদ এর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সোহেল রানা হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একদল দূর্বৃত্ত তার উপর হামলার চেষ্টা করে। অবস্থা বুঝে দূর্বৃত্তদের কবল থেকে রক্ষার জন্য সে দৌড়ে পালানোর সময় ধাওয়াকারীরা সোহেল রানাকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারে।

এতে ইটের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠাননো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ- পুলিশ পরিদর্শক আলাউদ্দিন জানান, সোহেল রানা নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সুত্র জানায়, দলীয় কোন্দলের সুযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ কর্মীরাই সোহেলকে হত্যা করেছে। তবে অপর একটি সুত্র জানায় পারিবারিক বিরোধ এবং দলীয় কোন্দল মিলিয়ে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।

হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন বিএনপি’র ওয়াহিদুল আলম ও মীর মো.নাছির উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে একটি মোবাইল নিয়ে বিরোধ হয়। বিকালে স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

এসময় সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলম গ্রুপের সমর্থকদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে সোহেল নিহত হন। নিহত সোহেল সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির গ্রুপের সমর্থক বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় হবে বলে। তবে রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ থানায় মামলা করেনি।

এদিকে হাটহাজারীতে ছাত্রদল নেতা সোহেলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয় হাটহাজারি স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স এর সামনে ছাত্রলীগ নেতা তারেক, আরিফ, আবদুল হান্নান, লিটন, তৈয়ব, ছায়েম, আজিম উদ্দিন, শাখাওয়াত, শাকিব, নাঈম, বাবু, শরিফসহ ছাত্রলীগের ২৫-৩০জন সন্ত্রাসী নির্মম ভাবে সোহেল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বেআইনী গুম, ক্রসফায়ার ও বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড অব্যাহত রেখেছে। তার উপর তাদের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের তান্ডবও চলছে সমান তালে। সন্ত্রাসবাদ আর ছাত্রলীগ যেন সমার্থক নামে পরিনত হয়েছে।

ছাত্রলীগের একের পর এক হত্যাকান্ড দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর কথা। তখন পাক বাহিনী আর তাদের দোসররা যেভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অথবা যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানে হত্যা করেছে, একই কায়দায় সরকারের প্রশ্রয়ে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ অন্যায় ভাবে ছাত্রদলের মেধাবী নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করছে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সোহেল রানা’র হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তাছাড়া ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত সোহেল রানা’র পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print