
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি ডা. শাহাদাতসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে আগামী ১৫ মার্চ নগরীর লালদীঘির ময়দানে সমাবেশ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিএনপি।
আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলনে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সময় তারা দলীয় সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, নগর বিএনপি সভাপতিকে নতুন করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলে চট্টগ্রাম থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, দেশের মানুষ যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সেটির প্রমাণ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শরীফ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এ সময় ডা. শাহাদাত ও দলের ৭ জন নারীনেত্রীসহ ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাসহ একাধিক মামলা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শুধু নাশকতা মামলা নয়, নগর বিএনপির নেতাদের অফিস ও বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর চালিয়ে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে।
ডা. শাহাদাতকে নতুন মামলা দিয়ে তার জামিনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ডা. শাহাদাতসহ আরও ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২টি মামলা করা হয়। ওই দুটি মামলা থেকে উচ্চ আদালত জামিন দেন। কিন্তু কারাগারে বন্দী শাহাদাতের জামিন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে ফেনীতে বেগম জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে, আগামী ১৫ র্মাচ বিএনপি নগরীর লালদীঘি মাঠে জনসভা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, আশা করছি লালদীঘি জনসভায় প্রশাসনের কাছে অনুমতি পাব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা মো. নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সহ সভাপতি এমএ আজিজ, বিএনপি নেতা এসএম সাইফুল আলম, বিএনপি নেতা ইয়াছির চৌধুরী লিটন প্রমুখ