বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে চিকিৎসার জন্যও ভারতে যেতে দেয়নি পুলিশ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার দুপুরে ভারতের বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠায় অভিবাসন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান আজ বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে একটি বেসরকারি সংস্থার বিমানে চড়ে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের। কিন্তু বিমান বন্দর শাহাদাত ভাইকে দেশ্যত্যাগে বাধা দেয়া হয়। তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. শাহাদত হোসেন বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কলকাতা হয়ে বেঙ্গালুরু যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশ যেতে দেয়নি। পুলিশ লাউঞ্জ থেকে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
তিনি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, সব মামলায় জামিন থাকার পরও আমার পাসপোর্ট লক করে দেয়ার বিষয় বেধগম্য নয়। সরকার প্আরতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাকে হয়রানী করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পুলিশ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম বলেন, নাশকতা আইনের মামলায় তাঁর (ডা. শাহাদাত হোসেন) উপর দেশত্যাগে কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে। ফলে বিমান বন্দর থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি
বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে একটি বেসরকারি সংস্থার বিমানে চড়ে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর নাশকতা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। মামলা দুটিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে প্রায় ৩৪ দিন কারাভোগের পর ১৪ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ওই মামলায় জামিন নিয়ে তিনি বের হন।
