ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন-চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯২ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয় সেই চট্টগ্রাম বন্দরের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি পিছিয়ে পড়েছে। আর চট্টগ্রামকে বাণিজ্য বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও চট্টগ্রামে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ছে।

তিনি আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ শিপার্স কাউন্সিল এর আয়োজনে ‘সংকটে বন্দর উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আরো চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ার জন্য রাজনৈতিক অমনোযোগকে দায়ী করে বলেন, দেশ যখন স্বাধীন হচ্ছে তখনও ঢাকা-চট্টগ্রামের অবস্থান ছিল এক এবং দুই। এখনও তাই আছে। কিন্তু এক এবং দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে বহুগুণ।

তিনি বলেন, একটি উন্নত পোর্টের আলোচনা করলেই হবে না। একই সাথে নগরীর আলোচনাও করতে হবে। পোর্টের সঙ্গে সঙ্গে যদি নগরী গড়ে না ওঠে তবে এর সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ কোন একটি সংস্থার প্রধান কার্যালয় এখানে হলে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বসবাসের সব সুযোগ সুবিধা এখানে থাকতে হবে।

দেশে বিনিয়োগ বাড়লেও এর সুফল মিলছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ বলতে টাকা এবং কংক্রিটকে বোঝানো হচ্ছে। এখানে সবার নজর। ফলে সুফল পাওয় যাচ্ছে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রার সময় কমেনি, যানজটও কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অমনযোগের একটা বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি। ফলে কেবল চট্টগ্রাম বন্দর নয়, চট্টগ্রাম সিটিও পিছিয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর বনাম পায়রা বন্দর এভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। দেশে আরও অনেক বন্দর হতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কারণ নতুন বন্দর হতে সময় লাগবে।’

গোল টেবিল বৈঠকে একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। প্রাকৃতিভাবে এর অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও সুফল পাচ্ছে সারাদেশের মানুষ। তাই বন্দরের অগ্রগতি মানে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড.খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‍সড়ক, সেতু ও রেল খাতের উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিলেও বন্দরের দিকে নজর ছিল না। হয়তো সরকারের প্রারাধিকার থাকতে পারে। কিন্তু এখন বন্দরের উন্নয়নে প্রাধিকার দেওয়া উচিত।

সেমিনারে বন্দর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বন্দর-কাস্টমসের বিভিন্ন সমস্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এই ধরনের সেমিনারে উচ্চ পর্যায়ের নীতিগত
সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ী দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। তার মানে হলো সেবা দানকারী সংস্থার সাথে দূরত্ব বেড়েছে। এটি ভাল লক্ষণ নয়।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মামুন আবদু্ল্লার সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী মিজান, বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্চন শেখর দাশ, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মো.বখতিয়ার, চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রমাসন ও পরিকল্পনা) মো.জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড.নাহিদা ফরিদীসহ বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা, প্রতিনিধিগণ।

সেমিনারে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের নানা ভোগান্তি, বন্দরের অবকাঠানো উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় সক্ষমতা না বাড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print