
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ৭৫’র বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরবর্তী সময়ে থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করেছেন। তাই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহীতার সবচেয়ে বড় নজীর।
তিনি রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গিরা এখন অন্দর মহলে ঢুকে পড়েছে। তারা ঘর-বাড়িতে বোমা ও অস্ত্রের পাহাড় মওজুদ করেছে। তাদের সেই দুর্গে আমাদের নেতাকর্মীদের হানা দিতে হবে। তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতিটি বাড়ি-ঘরে গিয়ে ভাড়াটের তল্লাশী করুন, জঙ্গি কিনা শনাক্ত করুন।
আ জ ম নাছির আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তি পাগল বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। সেই লক্ষ্যে বাঙালি জাতি যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এ প্রজন্মের সবাইকে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও চেতনা ধারণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করেছেন এবং অনেককেই মন্ত্রী করে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দিয়েছিলেন, যা স্বাধীনতাকে আঘাত করার সামিল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসে দূর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং জিয়া আরফানেন্ড ট্রাস্টে আসা এতিমদের আর্থিক অনুদানগুলো তার কুপুত্র তারেক জিয়ার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এই মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। তত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই দূর্নীতির মামলায় বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় দেশে আজ আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ. রশিদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান বুলু, বখতিয়ার উদ্দিন খান, থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও কাউন্সিলর মো: গিয়াস উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবদুল আহাদ, জোবায়রা নার্গিস খান, আবু তাহের, ডাঃ ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য এম.এ. জাফর, মো: ইয়াকুব, আবুল মনসুর, নুরুল আলম, গাজী শফিউল আজিম, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, জাফর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, অমল মিত্র, ইঞ্জিঃ বিজয় কুমার চৌধুরী কিষান, রোটারিয়ান ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মো: হারুনুর রশিদ, হাজী সিদ্দিক আলম, এম.এ. হালিম, আলহাজ্ব সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আবু তাহের, মো: আনছারুল হক, হাজী আবু তাহের প্রমুখ।