
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার বোয়ালখালীতে একটি ভেজাল মবিল তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় মবিল তৈরির যন্ত্রপাতি, ভেজাল মবিল ও বিভিন্ন নামী কোম্পানী লোগো সম্বলিত লেবেল এবং বোতল জব্দ করা হয়।
গতকাল বুধবার (৪এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চাঁন্দার পাড়ার পৌর প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিবের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে এ ভেজাল মবিল তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ।
বুধবার রাতে এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মিল্টন বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভেজাল মবিল তৈরির কারখানা সন্ধান পেয়ে থানা পুলিশের একাধিক সদস্য চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের মৃত বদিউল আলমের ছেলে মো. সোহেল (৩০)কে আটক করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ভেজাল তেল, মবিল, মবিল তৈরির যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কোম্পানীর লেভেল এবং বোতল জব্দ করা হয়।
এ কারখানায় জ্বালানি তেল দিয়ে ভেজাল মবিল, সুপার মোটর অয়েল, গ্রিজ, ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার অয়েলসহ নামিদামি কোম্পানী নাম ব্যবহার করে বোতল জাত করে বিক্রি করে আসছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম আবুল কালাম অনুসারী পৌর আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমানের ছত্রছায়ায় উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চাঁন্দার পাড়ায় এ ভেজাল তেল তৈরির কারখানা পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চললেও কেউ মুখ খুলতে সাহস করেননি।
পৌর প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ‘আমি বাসাটি ভাড়া দিয়েছিলাম, তারা ভেজাল না আসল মবিল তৈরি করে তা জানি না।’