
নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম নান্দনিক সম্মেলন। আজ শুক্রবার সকালে এ সম্মেলনের আয়োজন করে গনমাধ্যম ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান নান্দনিক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এতে চট্টগ্রামের পরিবহন ও ট্রাফিক ব্যাবস্থা বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নান্দনিকের সভাপতি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. ইকবাল বাহার ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সম্মেলনে বক্তব্যে রাখেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাব-এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন এবং নগর পরিকল্পনাবিদ ইন্জিনিয়ার আলী আশরাফ ও সুভাষ বড়ুয়া-সহ সচেতন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তার চট্টগ্রামের যানজট সমস্যা সমাধান ও ট্রাফিক ব্যাবস্থা উন্নয়নে নানা মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-সহ ৬ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

সম্মেলনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন-হকার ও দোকানিরা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে আছে। গাড়িচালকরা মালিকের চেয়ে শক্তিশালী। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি। অন্যদিকে, খাল দখল করছে বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিক। নগরীতে পূর্ণাঙ্গ ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এককথায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে এ নগরী। আমরা অপরিকল্পিত নগরায়নের ফল ভোগ করছি। তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য সিগনাল লাইটের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় বলেছে, এ প্রকল্পটি ট্রাফিক বিভাগ থেকে আসতে হবে।’
শুরুতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরে যানজটের বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরে মেয়র ও সিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, খাস্তগীর ও বাওয়া’র মতো স্কুলগুলোকে নিজস্ব বাস সার্ভিস চালুর জন্য বাধ্য করা, পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন অন্তর্ভুক্ত করা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক গাড়িচালক নিষিদ্ধ করা, ধুলোবালি মুক্তকরণে ব্যবস্থা নেওয়া, ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর রাখা, শব্দদূষণ রোধ, ফুটপাত হকারমুক্ত করার জানান।
এরপর মেয়র বলেন, ‘কথা বলা সহজ, কিন্তু কাজ করা ও বাস্তবায়ন করা কঠিন। বিশেষ করে যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের আইনের কাঠামোতে থেকে কাজ করতে হয়। আমার অর্থ ও সময় আছে কিনা? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমতি দিচ্ছে কিনা? এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। সদিচ্ছা থাকলেও পারি না।