
২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাসে পেট্রল বোমা হামলায় আট জনকে হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রোটেকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুতে গ্রেফতার (শ্যোন এরেস্ট) দেখানো হয়েছে।
আজ রবিবার কুমিল্লার ৫ নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাইন বিল্লাহ এই আদেশ দেন।
পরে আদালত ১০ এপ্রিল এই মামলার জামিন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহার ও জামিন আবেদন করেছিলেন। এসময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে খালেদা জিয়াকে কেন হাজির করা হয়নি জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার ৫নং আমলি আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ২৮ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আট জন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয় জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। ৭৭ আসামির মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচ জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অপর ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন চার্জশিট দাখিল করেন।