
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি:
বিঝু উদযাপন করতে চাকুরিস্থল ঢাকা থেকে নিজবাড়ি বাঘাইছড়িতে এসে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে এক পাহাড়ি যুবক অপহরণের শিকার হয়েছে বলে জানাগেছে। অপহৃত যুবকের নাম: মিনিলা ওরয়ে মুলায়ন চাকমা (২০)। সে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন বঙ্গলতলী ইউনিয়নের ঝগড়াবিল গ্রামের মধুকর চাকমা সন্তান বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।
আজ শুক্রবার বেলা সোয়া দশটার সময় এই ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
অপহরণের বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি বলে জানিয়েছে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ। এদিকে, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রাঙামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক ধর্মসিং চাকমা এক যৌথ বিবৃতিতে এই অপহরণ ঘটনার জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন) জেএসএসকে দায়ি করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিবৃতি পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৩ এপ্রিল শুক্রবার বৈসাবি উৎসবের দিন সকালে জেএসএস সংস্কারবাদী কর্তৃক মুলায়ন চাকমা নামে ২০ বছরের এক যুবককে অপহরণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। মুলায়ন চাকমা ঢাকায় একটি ফ্যাক্টরীতে চাকরি করেন। পরিবারের সাথে বিঝুউৎসবে অংশ নিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।
উক্ত দুই নেতা বলেন, ‘জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের চার কুচক্রী তাতিন্দ্র লাল চাকমা ওরফে পেলে, শক্তিমান চাকমা, সুদর্শন চাকমা ও অংশুমান চাকমা তাদের পুরো পার্টিকে কব্জা করে জাতিবিরোধী ধ্বংসাত্ত¥ক খেলায় মেতে উঠেছে। তারা একটি কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ট হয়ে নব্য মুখোশ বাহিনীকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ ও আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছে। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে জিম্মি করে রাখতে তাদেরকে সহায়তা করছে।’
এদিকে সংস্কারপন্থী এমএন লারমা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে দলটির উদ্বর্তন এক নেতা জানান, আমরা কখনো হত্যা-অপহরণ বাণিজ্যের সাথে জড়িত নই। হত্যা-খুন-গুমসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দায়ভার আমাদের উপর চাপিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে খুন করছে ইউপিডিএফ, জনগনই একদিন এই সকল সন্ত্রাসীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।