আরফাত বিপ্লব, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম):
জেলার লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলমকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি।
জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলমকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে লোহাগাড়া থেকে প্রেষণে বদলির আদেশ দেয়। তবে ১৮ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বদলির আদেশ বাতিল করে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। মূলত এরপর থেকে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের রশি টানাটানির বিষয়টি সামনে চলে আসে।
১৯ এপ্রিল স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর আবু রেজা নদভীর অনুসারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা উপজেলা চত্বরে একটি মানববন্ধন করে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলমকে জামায়াত শিবিরের দোসর আখ্যা দিয়ে তাকে অপসারনের দাবি জানানো হয়।
এসময় অপরিচিত কিছু লোককে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে দেখা যায়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেখে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। পরদিন ২০ এপ্রিল লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দাবি করা হয়, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে ব্যানার ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলমকে অপসারনের যে দাবি তোলা হয় তার সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের দূরতম সম্পর্কও নেই। এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক। বরং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলম একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংসদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের দূরত্ব বাড়ছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে পরদিন পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এমপি নদভী সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতারা। সেখানে তারা দাবী করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির আন্দোলন যৌক্তিক ও নায্য। এ আন্দোলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ছিলেন না বলে সভাপতি/সম্পাদক যে দাবি করেছেন তা সঠিক নয়। সাংবদিকদের হাতে দেয়া লিখিত বক্তব্যের নীচে স্বাক্ষর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুচ্ছাফা কোম্পানী, নিবাস দাশ সাগর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম , সদস্য এস এম আব্দুল জব্বার ও মো. জহির উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, পদুয়া ইউনিয়নে একটি খাসজমির দখল বেদখল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এমপি নদভীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রকাশ।
