
চট্টগ্রাম বন্দরে সিগারেটের একটি চালান আটক করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে চালানটি জব্দ করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আনা আমদানী নিষিদ্ধ ৩০৩ ও ‘মন্ড’ ব্রান্ডের ৬৫০ কার্টন এ চালানে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ সিগারেটের শলাকা রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৩ কোটি টাকা বলে জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটক করেন। ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার গ্রাম বাংলা করপোরেশনের নামে এমভি ওয়েল স্ট্রেইটস নামের একটি জাহাজে সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারটি (সিএনসিইউ ১৫০৪৬২০)। প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা ছিল ৫৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ ডিউটির ৩৩৭ বেল (চাক্কি) ফেল্ট বা ফোম। কিন্তু কনটেইনারটি স্ক্যানিং করে দেখা যায় কার্টনে ভরা। তখন সিগারেট বলে সন্দেহ হয় এআইআর কর্মকর্তাদের। এরপর কনটেইনারটি বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের জিম্মায় দেওয়া হয়।
কায়িক পরীক্ষা শেষে কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে, বিআইএন নাম্বার তদন্ত করে দেখি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া। তারা আগে কখনো আমদানি করেনি। সিগারেট আমদানিতে ৪৫০ শতাংশ ডিউটি দিতে হয়। এটি দেশের সবচেয়ে বড় চোরাচালান। রাষ্ট্রের অনুকূলে সিগারেটগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। কাস্টম কর্তৃপক্ষ সিগারেটগুলোর গুণগতমান ঠিক থাকলে পর্যটন করপোরেশনের কাছে বিক্রি করা হবে। নয়তো ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, শিপিং এজেন্ট ও ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হবে।
এদিকে বন্দরের একটি সুত্র জানায়, এ ধরণের জালিয়াতির সাথে জড়িত রয়েছে একাধিক চক্র। এর মধ্যে ওয়াজিহা লজিষ্টিক বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। প্রতিষ্ঠানটির অফিস রয়েছে নগরীর আগ্রাবাদ এরিয়াতে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বাবুল আলম ভূঁইয়া প্রকাশ অার্মি বাবুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে গোয়েন্দা সুত্র জানায়।