
চট্টগ্রামে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ইয়াবাসহ আটক হওয়া আশরাফ ও হাসান দুই জন আপন ভাই। আজ শুক্রবার ভোরে হালিশহর থানার শ্যামলী হাউজিং সোসাইটির একটি বাসা থেকে এই ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়।
দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মইনুল ইসলাম জানান, সিএমপির আটক করা ইয়াবার চালানের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় চালান।
তিনি বলেন, শুক্রবার (৪ মে) গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে নগরের হালিশহর থানার শান্তিবাগ শ্যামলী আবাসিকের জেডএস এঞ্জেল বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ‘ফোরবি’ ফ্ল্যাট থেকে আশরাফ আলী (৪৭) ও মো. হাসান (২২) নামের দুই ভাইকে আটক করে পুলিশ।
আশরাফের ঘর থেকে ৪ লাখ এবং গ্যারেজে রাখা প্রাইভেট কার থেকে বাকি ৯ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বোটে করে এয়ারটাইট বাক্সে পলিথিন মুড়িয়ে রশি বেঁধে ইয়াবার বাক্সগুলো সাগরে ফেলা হয়। এরপর ওই রশি বোটে বেঁধে টেনে আনা হয় ইয়াবার এই চালান। একই কায়দায় এই চক্র আগেও ইয়াবা চালান বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ছুটির দিন বিশেষ করে ঈদ, শবেবরাত টার্গেট করে ইয়াবার চালানগুলো পাচার করে আশরাফ ও তার ভাই। তারা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির গিলাতলী এলাকার মৃত তৈয়বের। তারা সৎ ভাই।
আবু বক্কর ছিদ্দিক আরো জানান, শ্যামলী হাউজিং সোসাইটির মসজিদসংলগ্ন বাসা থেকে জব্দ করা ইয়াবাগুলো মিয়ানমার থেকে বোটে করে আনা হয়েছিল। এয়ারটাইট বাক্সে পলিথিন মুড়িয়ে রশি বেঁধে ইয়াবার বাক্সগুলো সাগরে ফেলে দেওয়া হতো। এরপর ওই রশি বোটে বেঁধে টেনে আনা হতো ইয়াবা চালানগুলো।
আশরাফ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সৌদিআরবে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সৌদিআরব থাকাকালীন রোহিঙ্গা আব্দুর রহিমের সঙ্গে পরিচয় হয় আশরাফের। আব্দুর রহিম পরে আশরাফকে মায়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ী লা মিমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গত বছর ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে এসে পুরোপুরি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন আশরাফ।
আশরাফ এ বছর এপ্রিলের ৭ তারিখে ঢাকা থেকে রেঙ্গুন যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক দুই ভাইয়ের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায়।