
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার সীতাকুণ্ডে পৃথক অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। এসময় আটক করেছে গাড়িসহ তিন পাচারকারী সদস্যকে। আটককৃত ইয়াবার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বড় দারোগারহাট স্কেল এর সামনে অভিযান চালিয়ে ২৭ হাজার ইয়ারা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সোমবার রাতে অপর একটি অভিযান চালিয়ে আরো ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার শাহারিয়া দক্ষিনপাড়া এলাকার ইমাম শরীফের পুত্র আবদুল বাছেদ (২০), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ডুলহাজরা এলাকার নির্মল কান্তি দে’র পুত্র জুয়েল কান্তি দে (৩৩) ও একই জেলার রামু থানার গজ্জানিয়া এলাকার লাল মিয়ার পুত্র মো.শাহজাহান (২০)।
সীতাকুণ্ড পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এসপি সীতাকুণ্ড সার্কেল শম্পা রানী সাহা, অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইফতেখার হাসান, ওসি(তদন্ত) মোজাম্মেল হক ও উপ-পরিদর্শক আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে মহাসড়কের বড়দারোগারহাট স্কেল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কক্সবাজার চকরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখি একটি মাক্রোবাস থামাতে সংকেত দেন। কিন্তু মাইক্রোবাস চালক সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে মাইক্রোবাসটি আটক করে ভেতরে তল্লাশি চালান। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা তল্লাশির পর দুপুরে আটক জুয়েল ও শাহাজাহানের স্বীকারোক্তিতে মাইক্রোবাসের পিছনে থাকা অতিরিক্ত চাকার ভেতরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৩টি প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়ানো ২৭হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মহাসড়কের পৌরসদরস্থ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকামুখি একটি যাত্রীবাহি বাসের গতিরোধ করে তল্লাশিকালে ৩ হাজার ইয়াবাসহ আবদুল বাছেদকে আটক করা হয়।
এএসপি সীতাকুণ্ড সার্কেল শম্পা রানী সাহা জানান, পৃথক দু’টি অভিযানে উদ্ধার করা ৩০হাজার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৯০লক্ষ টাকা। অভিযানে আটক তিন পাচারকারীকে মাদক দ্রব্য মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।