
দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এসপি পত্মী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলা আজ সোমবার দিনের যে কোন সময় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন।
গ্রেফতারের প্রায় ২৩ মাসের মাথায় মুক্তি পাচ্ছেন আলোচিত এ মামলার অন্যতম আসামী ভোলা।
এর আগে গত ৬ মে বিচারপতি শওকত হোসেন ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে তার ছয় মাসের জন্য ভোলার জামিন মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, রবিবার ভোলার জামিন পাওয়া কাগজপত্র চট্টগ্রাম আদালতে এসেছে। যাচাই বাচাই শেষে তা সোমবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় ভোলার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
পুলিশ জানায় এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার পর তদন্তে ভোলা নাম উঠে আসে। খুনীদের অন্যতম সহযোগী ও অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে নাম আসার পর ২০১৬ সালের ২৭ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভোলা নগরীর ৩৫নং বক্সরিহাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বলে স্থানীয়রা জানায়।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসি মো. কামরুজ্জামান জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহযোগী ও অস্ত্র সরবরাহকরী এহতেশাম ভোলা রাজাখালী এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। বাবার নাম মৃত সিরাজুল হক।
তিনি জানান, ভোলা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালি হাইওয়ে সড়কসংলগ্ন অবৈধ দখলকৃত বাড়িতে। এখানে তার একটি কলোনি ভাড়া দেওয়া আছে। একাধিক খুন ও ডাকাতি মামলার আসামি ভোলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
পুলিশ জানান, কলোনিতে থাকা শ্রমজীবী মানুষগুলোই তার পুঁজি। যে পিস্তল দিয়ে গুলি করে মিতুর হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে সেটি সরবরাহ করেছিল ভোলা। হত্যার পর খুনিদের কাছ থেকে অস্ত্রটি আবার সে ফেরতও নিয়ে নেয়। মিতু হত্যার মূল নির্দেশদাতা হিসেবে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় থাকা আলোচিত মুছার সঙ্গে অস্ত্রসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার শেয়ার রয়েছে ভোলার।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে সাড়ে ৭টায় নগরীর জিইসি এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন হয় মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন তার স্বামী তৎকালিন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিন জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
*মিতু হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ভোলাকে ফের রিমাণ্ডে
*মিতু হত্যা, রিমাণ্ড মঞ্জুরের ৭মাস পর ফের পুলিশ হেফাজতে ভোলা