
আগামী নির্বাচনে আওয়াম লীগের ভরাডুবি হবে এই আশঙ্কায় সরকার। বেগম জিয়া ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সেই ভয়ে আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেইজন্য একের পর এক মামলা দিচ্ছে।
তিনি ১৮ মে শুক্রবার বাদে আছর নগরীর টাকশা মিয়া জামে মসজিদে এতিমদের মাঝে ইফতার বিতরণ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে চরম প্রতিহিংসার শিকার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা হাইকোর্টের জামিন আদেশ উচ্চ আদালত বহাল রাখার পরও নতুন করে আরো দুইটি মামলা দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে আওয়ামীলীগ। তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বন্বিত।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ পাসপোর্টে আছে। যদি ১৫ আগষ্ট জন্ম তারিখ হওয়ার সুবাদে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয় তাহলে কোন শিশু জন্ম গ্রহণ করে এবং জন্মদিন পালন করলে তাদেরও বিরুদ্ধেও মামলা হবে। সরকার আইনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে দেশ শাসন করতে পারলে আইন পাশ করে ১৫ আগস্ট কোন শিশু জন্ম গ্রহণ না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
শাহাদাত আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগ ১৯৬ দিন জ্বালাও পোড়াও, হরতাল ও অবরোধ করছিলেন। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার নুরুল ইসলামকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বানিয়ে ১ম পতাকা দিয়েছিলেন। যদি মামলা হয় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম বাবুল, নূর হোসেন, মনজুর আলম, এম এ হালিম বাবলু, আবদুল নূর জুয়েল, জসীম বাদশা, মো. সেলিম, আলতাফ, নুরুল আমিন শিপু, তামিম, জেকু, লিটন, ওসমান, শিবলু, লোকমান ও মিজান প্রমুখ।