ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ডবলমুরিং এ মসজিদে মাদকসেবীদের হামলা, আতঙ্কিত নারীর মৃত্যু

ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ছবি ফেসবুক থেকে সংগ্রহ।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ছবি ফেসবুক থেকে সংগ্রহ।

মাদক পাচারকারী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী র‌্যাব-পুলিশে যৌথ অভিযানের মধ্যেও চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ মোল্লাহ পাড়া (মৌলভীপাড়া) মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়াবস্থায় মুসল্লীদের উপর হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ মাদকসেবীরা। হামলাকালে লায়লা বেগম নামে (৫৩) আতঙ্কিত এক নারী হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ এবং সন্ত্রাসীরা লায়লা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে দেয়নি। ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন মসজিদের একজন মুসল্লি।

অভিযোগ উঠেছে, মসজিদে মাদক বিক্রেতাদের হামলার খবর পেয়ে সিএমপির ডবলমুরিং থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের আটক না করে উল্টো নীরিহ লোকজন ও মুসল্লিদের থানায় ধরে নিয়ে গেছে।

রবিবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এ হামলার ঘটনায় আগ্রাবাদ মোল্লাহ পাড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, ডবলমুরিং থানা পুলিশের সহযোগিতায় বহিরাগত বাঙ্গালী বাবুল, মাসুম, জনিসহ অনান্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাতে হেরোইন ফেন্সিডিল, ইয়াবা গাঁজা বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। এতে এলাকার কিশোর তরুণ সমাজ নেশাগ্রস্থ হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।  মহল্লার লোকজন এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চালায়, পুলিশ দিয়ে হয়রানী, ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।

কিছু আগে এলাকার লোকজন সংগঠিত হয়ে মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করে।  এতে মাদক বিক্রেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদে এবং এলাকার বাড়ীঘর দোকানপাটে হামলা ভাংচুর করেছে।  পুলিশের সেহযোগিতা থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায় না বলেও জানান একটি বাড়ির জমিদার সালেহ আহমদ।

নিহত মহিলা লায়লা বেগমের ভাতিজা জানায়, আমার ফুফ এসব হামলার ঘটনা দেখে স্টক করেছে। এসময় হামলাকারীদের ভয়ে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না।  পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশও কোন সহযোগিতা করেনি। ফলে আমার ফুফুকে হাসপাতালে নিতে পারিনি। তিনি ঘরেই মারা যান।  আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

প্রতিবাদী এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে জানতে ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের মোবাইলে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পরে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জহির মুটোফোনে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ভাই মারামারি হয়েছে তবে কেউ মারা যায়নি।  রামজান মাসে রাস্তার পাশে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে এলাকার দুদল যুবকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।  আমরা ১০/১২ জনকে থানায় ধরে এনেছি। তাদের যাছাই বাছাই চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ জহির বলেন, যে মহিলা মারা গেছে বলা হচ্ছে সেটা স্বভাবিক মৃত্যু।  এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই।  কেউ তাকে মারেনি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print