
চট্টগ্রামে বন্ধুকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আজ (২৮ মে) সোমবার চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- আলী আজম ও মোহাম্মদ আলম। অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালত মামলা থেকে নাইমুল ইসলাম রাকিব ও মোহাম্মদ নাছের নামে অপর দুইজন বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডিত আসামীর মধ্যে আলম কারাগারে থাকলেও আজম জামিন নিয়ে পলাতক আছেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জনা গেছে, ২০১২ সালে ৪ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিকশা বিক্রির টাকা আত্মসাতের জন্য বায়েজিদ থানাধীন কুলগাঁও এলাকার বাসিন্দা আকতার হোসেনকে তার বন্ধুরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গহীন পাহাড়ে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করে।ফেলে। নিখোঁজ আকতার হোসেনের ভাই রফিক এ ব্যাপারে ১৫ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় বছরের মামলা করেন।
পরে পুলিশ আসামি আজম ও আলমকে গ্রেফতারে পর তারা দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্য অনুষদ ভবনের পেছনের এলাকা থেকে আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আকতার বায়জিদের কুলগাঁও এলাকার খলিল আহমদের ছেলে।
আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।